এনআরএস কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর ইস্তফা দিলেন সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের ২০ জন চিকিৎসক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রফেসর ও অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর পদ মর্যাদার ডাক্তাররাও। এই ২০ জনের মধ্যে আটজন মেডিসিন বিভাগের ও দুজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের ডাক্তার বলে জানা গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে এই সরকারি হাসপাতালেও। এ দিন সকালে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর পরিজন ও ডাক্তারদের মধ্যে বচসার জেরে উত্তেজনাও ছড়ায়। রোগীর পরিজনরা বিটি রোড অবরোধ করলে, বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ এসে অবরোধ উঠিয়ে দেয়। এরপরে রোগী ও তাদের ক্ষিপ্ত পরিজনরা জরুরি বিভাগের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিভাগীয় প্রধানকে দেওয়া গণ ইস্তফা পত্রে চিকিৎসকরা লিখেছেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কোনও রোগীকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তার থেকে ইস্তফা দেওয়া ভাল।
সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমনিতেই ডাক্তারের সংখ্যা কম। তা নিয়ে আগে থেকে সংকট রয়েছে। এক সঙ্গে কুড়ি জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিলে হাসপাতালটি যে চালানো মুশকিল তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাতে এমনিই সংকট তৈরি হয়েছে। রোগীদের পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় বাকি ডাক্তাররা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ডাক্তাররা সকলেই পরিষেবা দিতে এসেছেন, কেউ রোগীর পরিবারের হাতে মার খেতে আসেননি। সেই কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন।