হঠাৎ খাঁচায় আগুন্তুক, ঘাবড়ে গিয়েছে বিশ্বাসও

খোদ পশুরাজ বলে কথা৷ আর তার খাঁচাতেই কি না ন বলে কয়ে ঢুকে যাওয়া! তার পরেও অবশ্য বিশ্বাসের দয়াতেই বেঁচে গিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দা গৌতম গুছাইত৷ পিঠ এবং পায়ে কিছুটা আঁচড়েই এ দিন গৌতমকে রেহাই দিয়েছে বিশ্বাস নামে পুরুষ ,সিংহটি৷

এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আচমকাই মদ্যপ অবস্থায় আলিপুর চিড়িয়াখানায় সিংহের এনক্লোজারে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি৷ তখন খাঁচার বাইরেই ছাড়া ছিল বিশ্বাস নামে ওই সিংহটি৷ মদ্যপ অবস্থায় থাকা ওই ব্যক্তি দেখে খানিক ঘাবড়ে গিয়েছিল বন্দিদশায় থাকা সিংহটিও৷ সম্ভবত সেই কারণেই নাগালে পেয়েও গৌতম গুছাইত নামে ওই ব্যক্তির উপরে প্রাণঘাতী হামলা চালায়নি বিশ্বাস৷ চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানিয়েছেন, এ দিন সকালের ঘটনার পর থেকে বেশ কিছুটা আতঙ্কেই রয়েছে সিংহটি৷

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিন বছর আগে হায়দরাবাদের চিড়িয়াখানা থেকে বিশ্বাস নামে এই সিংহটিকে আনা হয়েছিল৷ বিশ্বাস ছাড়াও এই মুহূর্তে চিড়িয়াখানায় আরও তিনটি সিংহ রয়েছে৷

তবে এ দিনের ঘটনার থেকে শিক্ষা নিয়ে চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণীদের খাঁচা এবং এনক্লোজারের নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে৷ সিংহের ডেরার গায়ে তারের জালের উচ্চতা আরও বাড়ানো হচ্ছে৷ সিসিটিভি-র সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা৷

জানা গিয়েছে, গৌতম গুছাইত নামে ওই ব্যক্তি এ দিন বাড়ি থেকে বলে বেরনোর সময় বলেন, ‘বাঘের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি৷’ তার পর চিড়িয়াখানায় এসে মদ্যপ অবস্থায় সটান সিংহের ডেরায় হানা দেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিশ্বাসের ব্যবহারে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন তার ডেরায় হানা দেওয়া গৌতম!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.