দেশে মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে মহারাষ্ট্র ৷ গত কয়েকদিন ধরেই মহারাষ্ট্রের করোনার গ্রাফ উর্ধ্বুমখী ৷ এই রাজ্যে রোজই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ আর তার সঙ্গেই যে প্রশ্ন সকলের মনে উঠেছে সেটি হল তাহলে কী ফের শুরু করা হবে লকডাউন ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩১৭ জন ৷ মুম্বইতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৫০০ ৷ এর জেরে রাজ্যে ফের লকডাউনের আশঙ্কা বেড়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী উদ্বভ ঠাকরে জানিয়েছেন আগামী ২-৩ দিন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ৷
এর মধ্যে ঔরঙ্গাবাদে রাত ৯টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত লিমিটেড লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি শনিবার ও রবিবার পুরোপুরি লকডাউন থাকবে ৷ সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই আংশিক লকডাউন চলবে ৷ এই সময় জরুরি পরিষেবা জারি থাকবে ৷ অন্যদিকে নাগপুরে ১৫ থেকে ৩১ মার্চ পুরো লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে৷ কেবল এমারজেন্সি পরিষেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷
রাজ্যে অমরাবতী, পুণে, জলগাঁওয়ের মতো জেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷ বর্তমানে মহারাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি জন করোনায় আক্রান্ত ৷ এর জেরে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে ৷ মহারাষ্ট্রের পর সবচেয়ে প্রভাবিত রাজ্য কেরল ৷ তবে দুই রাজ্যের মধ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে অনেকটাই পার্থক্য রয়েছে ৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, কর্নাটক, গুজরাত ও তামিলনাড়ুতে লাগাতার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে ৷ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট আক্রান্তের মধ্যে ৮৫.৯১ শতাংশ এই ৫ রাজ্যের ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২২,৮৫৪ জন ৷ এর আগে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল মহারাষ্ট্রে বাড়তে থাকা করোনার কারণ হচ্ছে মানুষের মধ্যে ভয় কমে যাওয়া এবং অসাবধনতা ৷ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় কেন্দ্রের তরফে একটি উচ্চ স্তরের দল পাঠানো হয়েছে ৷ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই দল রাজ্য সরকারকে সাহায্য করবে ৷