বাংলা বিনা গীত নেই!
রবিবার রেডিওতে তাঁর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও কলকাতা তথা বাংলার প্রসঙ্গ টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের পর্বের বিষয় ছিল আত্মনির্ভরতা।
প্রধানমন্ত্রী জানান, “কলকাতা থেকে রঞ্জনবাবু তাঁর চিঠিতে খুবই সুন্দর করে মৌলিক প্রশ্ন তুলেছেন। আবার সেই প্রশ্নের জবাবও তিনি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন”। কলকাতার ওই ভদ্রলোকের পাঠানো চিঠি এর পর পড়তে শুরু করেন মোদী—“চিঠিতে উনি লিখেছেন, আমরা আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার কথা বলছি। কিন্তু আমাদের কাছে এর অর্থ কী? তার পর নিজেই তার জবাব দিয়ে লিখেছেন, আত্মনির্ভর ভারত অভিযান কেবল সরকারের কোনও নীতি নয়, এটা জাতীয় আবেগের বিষয়।”
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “উনি মনে করেন আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার মানে নিজের ভাগ্য ও ভবিষ্যতের নিজেই নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠা। রঞ্জনবাবুর এই কথা ষোল আনা ঠিক।”
এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানে উত্তর দিনাজপুরের এক ব্যক্তির কথাও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নাম সুজিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পানীয় জলের সঙ্কট মোকাবিলার ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর থেকে সুজিতজিও একটা ভাল মেসেজ পাঠিয়েছেন। উনি লিখেছেন, প্রকৃতি জল-রূপে আমাদের সবাইকে একটা অভিন্ন উপহার দিয়েছে। তাই এই সম্পদকে রক্ষা করার সমষ্টিগত দায় রয়েছে আমাদের।”
দক্ষিণবঙ্গের রঞ্জন আর উত্তরবঙ্গের সুজিতের কথা প্রধানমন্ত্রী যে ভাবে টেনে এনেছেন তা অনেকে ভোটের সঙ্গে জুড়ে দেখতে চাইছেন। তাঁদের মতে, প্রধানমন্ত্রী রঞ্জন, সুজিতদের কথা বলে বাংলার মানুষকে ছুঁতে চেয়েছেন। আত্মনির্ভরতা, কাজের সুযোগ, শিল্পায়ণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, পানীয় জলের সঙ্কটমোচনের ব্যাপারে বাংলায় প্রচুর মানুষের আগ্রহ রয়েছে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী সেই আগ্রহকে আরও উস্কে দিতে চাইছেন।