মিলন খামারিয়ার প্রতিবেদন। মোহনপুর, ৯ ই ফেব্রুয়ারী, ২০২১। তারা যৌবনের অগ্রদূত, তারা নূতনকে আহ্বান জানাতে চান, তারা উদ্যানপালন করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এসেছেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এদিন ছিল সর্ব ভারতীয় ফল গবেষণা প্রকল্পের তরফে এক দিবসীয় কৃষক প্রশিক্ষণ শিবির। বিষয়বস্তু ছিল পরিবেশবান্ধব ফলবাগিচা রচনা। প্রশিক্ষণ দেন ড. কল্যাণ চক্রবর্তী, ড. দিলীপ কুমার মিশ্র এবং ড. ফটিক কুমার বাউরি।
যে সমস্ত ফলগাছ হারিয়ে যাচ্ছে, খাদ্যযোগ্য ফলের অভাবে যে সমস্ত প্রাণীকুল যেমন পাখি, হনুমান, কাঠবেড়ালি ইত্যাদির বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তার সুযোগ বাড়াতেই তৈরি করতে হবে নানান প্রজাতির ফলের বাগান। বাংলার হারিয়ে যাওয়া ফলগাছগুলি তাতে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে৷ সামাজিক বন সৃজনের অঙ্গ হিসাবে এই ফলগাছ রোপিত হতে পারে। ফলের বাগান বানানো যায় পতিত জমিতে, যেখানে অন্য ফসল চাষ প্রায় অসম্ভব। এদিন প্রায় পঁচিশজন যুবক এসেছিলেন সেই প্রশিক্ষণ নিতে; অধিকাংশই নদীয়া ও ২৪ পরগণা থেকে, তবে মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য জেলা থেকেও কয়েকজন উৎসাহী কৃষক এসেছিলেন। তাদের ফলবাগিচা রচনা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পরিবেশন করা হয়। জানানো হয় একটি আদর্শ নার্সারী বা কিভাবে তৈরি করে নিতে হবে। চারা তৈরির সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়। তারা আগামী দিনেও যাতে এই গবেষণা কেন্দ্রে এসে শিখতে ও জানতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে, জানিয়েছেন প্রকল্প আধিকারিক অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র। প্রকল্প ও বাগিচা সম্পর্কেও প্রাসঙ্গিক কথা বলেন।
সমগ্র প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন এবং বিশেষ প্রযুক্তিগত ভাষণ দেন অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী। তিনি তাদের গবেষণা খামারটি ঘুরিয়ে দেখান। পেয়ারা চাষে অসময়ে ফসল ফলানোর জন্য বেন্ডিং টেকনোলজি শেখানো হয়, আমের জোরকলম কিভাবে করা যায় তা শেখানো হয়, কলার স্বাস্থ্যবান তেউড় নির্বাচন এবং লিচুতে গাছ-সৌধ নির্মাণের পদ্ধতি জানানো হয়। আম ও লিচুর ব্রিডিং পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়া হয়। প্রতিটি যুবক আরও শেখার আগ্রহে আগামী দিন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে চান।