গত দেড় মাস ধরেই ভারতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। সেইসঙ্গে প্রতিদিন দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ায় কমছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যেই কেন্দ্র জানাল ভারতে কোভিড নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার কারণ দেশের পাঁচভাগের এক ভাগ জেলায় গত এক সপ্তাহে নতুন সংক্রমণ নেই।
বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় আমেরিকার পরেই রয়েছে ভারত। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংক্রমণ শিখরে পৌঁছেছিল। তারপর থেকেই তা কমতে শুরু করেছে। দেশে একাধিক জায়গায় হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন বলেন, “ভারত সফল ভাবে কোভিড অতিমারীকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারেরও কম আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতের মোট ৭১৮টি জেলার মধ্যে ১৪৬টি জেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে একজনও আক্রান্ত হননি। ১৮টি জেলায় গত দু’সপ্তাহ ধরে কোনও আক্রান্ত নেই। দেশের কোভিড গ্রাফ স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে।”
ভারতে ইতিমধ্যেই টিকাকরণও শুরু হয়েছে। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যেই ২৩ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য ভারতে কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়ে এখনও মানুষের মধ্যে সন্দেহ থাকায় অনেক জায়গায় কর্মসূচি একটু ব্যাহত হচ্ছে।
দেশে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার পরেই এবার সুইমিং পুল সবার জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নির্দিষ্ট বিধি মেনে সব কিছুই ধীরে ধীরে খুলে গিয়েছে। অবশ্য বেশিরভাগ রাজ্যেই এখনও স্কুল-কলেজ খোলেনি। তবে আগামী দিনে তাও খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধীরে ধীরে সব কিছু খুললেও এবং টিকাকরণ শুরু হলেও দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন, যতদিন না সম্পূর্ণ ভাবে কোভিড মুক্ত হচ্ছে দেশ, ততদিন সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এই নিউ নর্ম্যালে সবাইকে অভ্যস্ত হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মোদী।