ট্যুইটার থেকে একেবারে ব্যান করে দেওয়া হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। আর তার ফলে একধাপ এগিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনিই এই মুহূর্তে ওই মাইক্রোব্লগিং সোশ্যাল প্লাটফর্মে সবথেকে বেশি ফলোয়ারের অধিকারী।
বর্তমানে মোদীর ফলোয়ারের সংখ্যা ৬৪.৭ মিলিয়ন। ট্রাম্পের ফলোয়ারের সংখ্যা ছিল ৮৮.৭ মিলিয়ন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফলোয়ার সংখ্যা ২৪.২ মিলিয়ন। রাহুল গান্ধীর হাতে রয়েছে ১৭.১ মিলিয়ন ফলোয়ার।
অন্যদিকে, আমেরিকায় জো বাইডেনের ফলোয়ার সংখ্যা ২৩.৪ মিলিয়ন ও কমলা হ্যারিসের ১৪.২ মিলিয়ন।
ট্রাম্পকে ব্লক করেছে ফেসবুক-ট্যুইটার। দুটি সোশ্যাল সাইটেই ব্লক করে দেওয়া হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকবেন না তিনি। খুলতে পারেন নতুন নিজস্ব প্লাটফর্মও। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
শুক্রবারই ট্যুইটার ব্যান করে দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। নতুন করে হিংসা ছড়ানোর থেকে সাবধান হতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের প্লাটফর্ম খলার ইঙ্গিত দেন।
ইউনাইটেড স্টেটস ক্যাপিটোল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প ভক্তদের হামলার পরই ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হয়। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল ট্যুইটার অ্যাকউন্ট থেকে একের পর এক ট্যুইট করা হয়।
সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ট্যুইটার আসলে শত্রুতা করে তাঁর মুখ বন্ধ করতে চেয়েছে। তিনি লিখেছেন, হতে ট্যুইটার একটা বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু সরকারি অনুমোদন ছাড়া তারা এতদিন টিকতে পারত না। অনেক সাইটের সঙ্গেই তাঁর কথাবার্তা চলছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে শীঘ্রই কোনও বড় ঘোষণা করবেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। অদূর ভবিষ্যতে তাঁর নিজের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়া ট্যুইটারকে ব্যবহার করে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও অশান্তি না ছড়াতে পারে, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয় ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট।
ট্যুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তাঁরা বদ্ধ পরিকর। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্লক করার কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে ট্যুইট করেন ট্রাম্প। যা পরে তুলে নেয় এই মাইক্রোব্লগিং সাইট। এক ট্যুইট বার্তায় শুক্রবার ট্রাম্প বলেছিলেন যাঁরা তাঁর হয়ে ভোট দিয়েছেন, ভবিষত্যে ফের সুর চড়াবেন তাঁরা। এই বার্তার মধ্যেই প্রচ্ছন্ন ছিল নতুন অশান্তির ইঙ্গিত। এরপরেই ব্লক করা হয় ট্রাম্পের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট।
প্রথম থেকেই নিজের পরাজয় মেনে নিতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ফল প্রকাশের দিন থেকেই তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন৷ বুধবারও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাল না ছাড়ার আহ্বান জানান প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ বুধবার হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সেনেটের যৌথ বৈঠকে জো বাইডেন মার্কিন মসনদে বসার সংশাপত্র পেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ সেনেটেরদের আটকে শুরু হয় ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ৷ ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ের ভিতরেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষ৷
ফলে মনে করা হচ্ছে এই বিক্ষোভের ইন্ধনে সরাসরি হাত ছিল তাঁর। কারণ একাধিকবার জো বিডেনের জয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছিলেন অন্যায়ভাবে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে বাইডেনকে। এদিকে, পুলিশ জানায়, ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হাউস অফ রিপ্রেসেনটেটিভস ও সেনেটের বৈঠক চলছিল। তখনই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক জোর করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে।