বিজয় দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, ‘সাহস’ নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা রাহুলের

আজ, বুধবার ৫০তম বিজয় দিবস (VIjay Diwas)। ১৯৭১ সালে এদিনই পাকিস্তানকে দুরমুশ করে যুদ্ধে জয় পেয়েছিল ভারত। সেই যুদ্ধে ভারতীয় সেনার পরাক্রমকে এদিন শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ তাবর রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তবে এই ঐতিহাসিক দিনটিও রাজনীতিমুক্ত রইল না।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। টুইটারে লিখলেন, “বিজয় দিবসে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা। এবং ভারতীয় সেনার বিক্রমকে স্যালুট। এই ঐতিহাসিক ঘটনা সেই সময়কার, যখন প্রতিবেশী দেশের মানুষ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর বিশ্বাস রাখতেন। ভারতের সীমানা পার করতে শত্রুরা ভয় পেত।” বলাই বাহুল্য লাদাখ সীমান্তে চিনের আগ্রাসন নিয়ে নাম না করেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন রাহুল।

এদিন সকালে বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে দিল্লির ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে (National War Memorial) হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। যুদ্ধজয়ের প্রতীকস্বরূপ ‘স্বর্ণ বিজয় মশাল’ প্রজ্বলন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আরও চারটি মশাল রয়েছে। ভারত-পাক যুদ্ধজয়ের স্বর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ওই মশালগুলি দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। এমনকী, ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পরমবীর চক্র ও মহাবীর চক্র প্রাপকদের গ্রামেও নিয়ে যাওয়া হবে এই মশাল। এদিন এই মশালগুলি আলোকিত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিল। এই যুদ্ধজয় বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সহায়তাও করে। স্বর্ণ বিজয় বর্ষ হিসেবে পালিত হবে গোটা বছরটি। এদিন তার বিশেষ লোগো প্রকাশ করেন প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং। টুইটারে ভারতীয় সেনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লেখেন, “১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনার পরাক্রম বিশ্বের মানচিত্র এক বিরাট বদল ঘটিয়েছিল। স্বর্ণাক্ষরে এই দিনটি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.