ভবিষ্যতে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে গেলে জানতে হবে করোনার উৎস : হু

করোনার উৎস খুঁজে বের করতেই হবে, নয়তো ভবিষ্যতের করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না। এমনই সতর্কতা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। হু-র ডিরেক্টর জেনারেল টেডরস অ্যাডানম ঘিব্রেইয়াসুস সোমবার জানান যদি বিশ্বের একজন মাত্র করোনা আক্রান্ত হন, তবে সারা বিশ্বে তা মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই একজনও যদি নিরাপদ না হন, তাহলে বিশ্বের কেউ নিরাপদ নন। এক ট্যুইট বার্তায় একথা বলেন হু-র ডিরেক্টর জেনারেল।

সোমবার টেডরস জানান, রবিবার প্রথম করোনা সংক্রমণ কমার দিকে। তবে তাতে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। করোনার উৎস খুঁজে বের করে তাকে সমূলে ধংস্ব করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর এই মহামারী ফিরে না আসে। করোনার উৎস সন্ধান চিনের উহান থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন টেডরস।

বাড়ছে সংক্রমণ। একের পর এক রাজ্য নাইট কার্ফুর পথে হাঁটছে। শুধু তাই নয়, নতুন লকডাউন কিংবা করোনা বিধি নিষেধ কার্যকর করছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। এই অবস্থায় সর্বদলীয় বৈঠক ডাকে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।ট

সূত্রের খবর, সংসদের দুই কক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্লোর লিডারদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় এই বৈঠক হবে। সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীর তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সংসদীয় দলনেতাদের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছে গিয়েছে।

গত মার্চ মাস থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ চলছে। দীর্ঘ কয়েকমাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে সরকার। মোদী ছাড়াও রাজনাথ, অমিত শাহ, হর্ষবর্ধন, প্রহ্লাদ যোশী সহ সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, সংসদের দুই কক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফ্লোর লিডারদের এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় এই বৈঠক হবে। সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রীর তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সংসদীয় দলনেতাদের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছে গিয়েছে।

তামিলনাড়ু সরকার ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত করোনা নিয়ে নিয়মবিধির মেয়াদ বাড়িয়েছে। করোনার থাবায় জর্জরিত মহারাষ্ট্র। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্যে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। করোনা পরিস্থিতি বিচার করার পরেই এই সিদ্ধান্ত বলে খবর মিলেছে।

মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। রাজ্যে ফের নিয়মে কড়াকড়ি হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। তিনি বলেছিলেন দিওয়ালির সময় প্রচুর মানুষ নিয়ম মানেননি। গণেশ চতুর্থীর পরেও পরিস্থিতি খারাপ ছিল। এখন ক্রমশ সংক্রমণ বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.