করোনা (Coronavirus) আবহে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য স্নাতক থেকে শুরু করে ডিএলএড-সহ যাবতীয় পরীক্ষাই হয়েছে অনলাইনে। ওপেনবুক পদ্ধতিতে। ফলে বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিয়েছেন রাজ্যের সমস্ত পড়ুয়ারা। মালদহের (Maldah) একমাত্র সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। কিন্তু রেজাল্ট বের হতেই হতবাক পরীক্ষার্থীরা।
জানা গিয়েছে, মালদহের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ শোভানগর ডিএলএড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা অক্টোবরে পরীক্ষা দিয়েছিলেন অনলাইনে, ওপেন বুক পদ্ধতিতে। শুক্রবার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় ফল। তখনই জানা যায়, কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মোট ১০০ জন ছাত্রছাত্রীই ফেল করেছেন। উত্তীর্ণ হতে পারেননি একজনও। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, এবিষয়ে তাঁরা শোভানগর সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বললে তিনি যথাযথ কোনও কারণ জানাতে পারেননি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পড়ুয়াদের। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর থেকে ডিএলএড দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়ারা অনলাইনে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল। দেড় মাস পর শুক্রবার প্রকাশিত হয় তার রেজাল্ট। কিন্তু কেন এমন রেজাল্ট? এবিষয়ে শোভানগর প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষ মিলন সাহার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, “কোনও টেকনিক্যাল ত্রুটি হতে পারে। পর্ষদকে জানিয়েছি। তিন-চারদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে বলে আশা করছি।”