ঠিক ছিল, দিওয়ালি উপলক্ষে সাড়ে পাঁচ লক্ষ গোবর দিয়ে তৈরি প্রদীপে সেজে উঠবে রাম জন্মভূমি। সেভাবেই চলছিল প্রস্তুতি। তবে দিনের দিন সেই সংখ্যা আরও বেড়ে গেল। সরযূর তীর আলোকিত করল মোট ৫ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৭২টি প্রদীপ। আর সেই সৌজন্যেই গিনেস বুকে নাম তুলল অযোধ্যা (Ayodhya)।
প্রায় পাঁচশো বছরের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যা ফিরেছেন রাম। রাম জন্মভূমিতে তৈরি হচ্ছে কাঙ্খিত রাম মন্দির। আগস্টে হয়ে গিয়েছে শিলান্যাসও। স্বাভাবিকভাবেই তাই এই শহরে এবার দীপাবলি নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ ও আগ্রহ প্রথম থেকেই ছিল অন্যরকম। আর শুক্রবার বিশ্বরেকর্ড করে যেন সেই সেলিব্রেশনেরই ষোলো কলা পূর্ণ হল। বিরাট এক দীপোৎসবের সাক্ষী থাকল গোটা দেশ।
১৪ বছর বনবাসে কাটানোর পর শ্রীরামচন্দ্র যখন নিজের রাজত্বে পা রেখেছিলেন, তখন আলোয় সেজে উঠেছিল গোটা অযোধ্যা। ঠিক সেভাবেই প্রতিবার দিওয়ালিতে আলোকজ্জ্বল হয়ে ওঠে রাম জন্মভূমি। তবে এবার আরও বেশি সংখ্যক প্রদীপ জ্বালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রদীপ তৈরিতেও ছিল বিশেষ চমক। ঠিক হয়, প্রথমবার গোবরের তৈরি প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে অযোধ্যাকে। সেই স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয় এদিন। লোকশিল্পীদের নৃত্য পরিবেশন, ট্যাবলোয় রামলীলা প্রদর্শন আর সরযূর তীরে লক্ষ লক্ষ প্রদীপের আলোয় জমজমাট হয়ে ওঠে দীপোৎসব। বিশ্বের মধ্যে প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনে দীর্ঘতম লাইন গড়েই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠে এই উৎসবের।
দীপোৎসবের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি হাজির ছিলেন রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেলও। দীপোৎসবে মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আমরা রাম মন্দির তৈরি এবং তার ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপনের সাক্ষী থাকতে পেরেছি। তাই নিজেদের অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি। ৫০০ বছরে বহু মানুষ রাম মন্দির গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন। তাঁদের অনেকেই আজ নেই। তবে শেষমেশ স্বপ্ন সত্যি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাই তাঁকে অনেক ধন্যবাদ। সমস্ত কোভিড বিধি মেনেই আমরা দীপোৎসব পালন করছি। রাম মন্দির গড়ার ক্ষেত্রেও সব প্রোটোকল মাথায় রেখেই কাজ হবে।”