প্রথম দফায় কারা করোনার ভ্যাকসিন পাবেন? তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বরের মধ্যেই তার তালিকা কেন্দ্রকে পাঠাবে রাজ্য সরকার।
করোনা টিকা বাজারে আসেনি এখনও। কিন্তু ভারতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে টিকা বিতরণের রূপরেখা তৈরির কাজ। রাজ্য সরকারগুলোকে সেই তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, প্রথম দফায় স্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মরত সব সাফাই ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকার প্রথমে রাখা হোক। সেই প্রস্তাব মেনেছেন ন্যাশনাল হেলথ মিশনের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই পুরসভাগুলিকে দ্রুত নামের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের নোডাল অফিসার সৌমিত্র মোহন।
বলা হয়েছে, চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্য এবং সাফাইকর্মীদের মধ্যে কারও যদি অন্য উপসর্গ বা কো-মর্বিডিটি থাকে তা তালিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। ‘হাই রিস্ক গ্রুপ’ বা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা-সহ অন্য উপসর্গের রোগীদের যত বেশি সংখ্যায় এই তালিকায় আনা যায় তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।একইসঙ্গে ষাট বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের পৃথক তালিকা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে করোনা টিকা প্রস্তুত করতে অন্তত সাতটি পৃথক গবেষণা চলছে। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, জাইডাস ক্যাডিলা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস, মাইনভ্যাক্স অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল-ই-র মতো সংস্থা এই উদ্দেশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর সহায়তায় ভারত বায়োটেকের তৈরি সম্ভাব্য করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে দিল্লির ‘এমস’-এ।
সেইসঙ্গে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি সম্ভাব্য করোনা-প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের ভারতে ‘হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চলছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় তত্ত্বাবধানে।