বছর পাঁচেক আগে নিদান দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর নির্দেশমতোই দেশের ২৩টি রাজ্যে সরকারি চাকরির (Government Job) নিয়োগের ক্ষেত্রে আমূল বদল এল। গ্রুপ সি’র কোনও চাকরির ক্ষেত্রেই এখন থেকে আর ইন্টারভিউ দিতে হবে না। শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি হবে মেরিট লিস্ট। গ্রুপ বি’র নন গেজেটেড চাকরির ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। শুধু মাত্র অতি উচ্চপদে চাকরির জন্য মৌখিক ইন্টারভিউ দিতে হবে। কেন্দ্র বহু আগেই এই পদ্ধতি চালু করেছিল। এবার ২৩ রাজ্য এবং আট কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও এই পদ্ধতি চালু হল।
নয়া নিয়োগ পদ্ধতির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলছিলেন, মোদি জমানায় হওয়া বহু ঐতিহাসিক সংস্কারের মধ্যে এটি একটি। দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকে সাড়া দিয়েছে ২৩টি রাজ্য। আর সবকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই এই নিয়ম চালু হয়েছে। উল্লেখ্য, সেই ২০১৫ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণের সময় সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ পদ্ধতি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন মোদি। তাঁর ঘোষণার মাস কয়েকের মধ্যেই ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে গ্রুপ বি (নন গেজেটেড) এবং গ্রুপ সি’র চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ পদ্ধতি তুলে দেয় কেন্দ্র। কিন্তু বহু রাজ্য সরকার এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে রাজি ছিল না। আবার গুজরাট, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলি তৎক্ষণাৎ এই পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে মোদির ঘোষণার ৫ বছর পর এসে দেশের ২৩টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই পরীক্ষাপদ্ধতি গ্রহণ করল।
কেন্দ্রের দাবি, এই পদ্ধতির ফলে পরীক্ষার্থীদের হ্যাপা কমবে। নিয়োগ পদ্ধতি আরও কম সময়ে সম্পন্ন হবে এবং চাকরিপ্রার্থী ও তাঁর পরিবার মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে। আসলে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর সময় বলেছিলেন, আগে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকে ইন্টারভিউয়ের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থী ও তাঁর পরিবার প্রচণ্ড মানসিক কষ্টে থাকত, সেটাই এবার লাঘব করতে চাইছে সরকার। সেই সঙ্গে ইন্টারভিউ ঘিরে যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, সেটাও এবার বন্ধ হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। তবে, এসবের মধ্যে একটা প্রশ্ন থাকছেই, নতুন পদ্ধতিতে আদৌ যোগ্যতম প্রার্থী সঠিকভাবে বাছাই হবে তো?