দু’বছর বাড়ল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। কেন্দ্রের সাঁড়াশি চাপে আরও বিপাকে নাগা জঙ্গিগোষ্ঠী NSCN-K। সোমবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বিবৃতিতে কেন্দ্র সাফ জানিয়েছে, পৃথক নাগালিম গড়ার উদ্দেশ্যে ভারতবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
জানা গিয়েছে, ইউএপিএ ধারায় খাপলাং গোষ্ঠীর সমস্ত কার্যকলাপ বেআইনি ঘোষণা করে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির উপর চাপ বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। বলে রাখা ভাল, নাগা শান্তি প্রক্রিয়ার গোড়া থেকেই বিরোধ করে আসছে NSCN-k বা খাপলাং গোষ্ঠী। তবে কয়েক বছর আগে মায়ানমারে সংগঠনটির প্রধান খাপলাংয়ের বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হওয়ায় নাগাল্যান্ডে সংগঠনটির প্রভাব অনেকটাই খর্ব হয়ছে। এছাড়া, NSCN-IM-এর সঙ্গে বিরোধ প্রবল হয়ে ওঠায় অনেকটাই জমি খুইয়েছে খাপলাং গোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, অসম ও মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে নাগা স্বাধীনভূমি বা ‘নাগালিম’ গড়ার ডাক বহুদিনের৷ এই দাবিতে অনেক দিন ধরেই জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন (NSCN)৷ সংগঠনটি দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মুইভা গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্র৷ কিন্তু সমস্ত আলোচনার থমকে আছে এনএসসিএন(আইএম)-এর দুটি দাবির উপর। পৃথক পতাকা এবং পৃথক সংবিধান। যা কিছুতেই মানতে নারাজ দিল্লি। ২০১৫ সালে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে মোদি সরকার। তারপর এই সংগঠনটি জঙ্গি আন্দোলন প্রত্যাহারেও রাজি হয়। কিন্তু এবছর স্বাধীনতা দিবসের আগে আরও একবার নিজেদের পুরনো দাবিতে সরব হন এনএসসিএন (আইএম) নেতা থুইঙ্গালাং মুইভা (Thuingaleng Muivah)। তাঁর দাবি ছিল, ২০১৫ সালে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে ভারত সরকার নাগাল্যান্ডের পৃথক জাতীয় পতাকা এবং আলাদা সংবিধানের দাবিতে স্বীকৃতি দেয়। এমনকী দুই দেশের পৃথক সহাবস্থানের কথাও বলা হয়। হঠাত মুইভার এভাবে সক্রিয় হয়ে যাওয়াটা চিন্তায় ফেলে কেন্দ্রকে। নাগাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কেন্দ্রের তরফে নিয়োগ করা হয় খোদ ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমারকে (Arvind Kumar)। এর আগে যিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন সেই আর এন রবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।