প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী যশোবন্ত সিং

 হৃদযন্ত্র
বিকল হয়ে রবিবার রাজধানী
দিল্লির সেনা হাসপাতালে সকাল
৬ টা ৫৫ মিনিট
নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ
করেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশোবন্ত সিং
।  হাসপাতালে তরফ থেকে জানানো
হয়েছে শারীরিক একাধিক অসুস্থতা নিয়ে
গত ২৫ শে জুন
থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।তার করোনা রিপোর্ট
নেগেটিভ ছিল।

অটলবিহারী
বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় অত্যন্ত দক্ষ এবং যোগ্য
মন্ত্রী হিসেবে দেশকে সেবা
করে গিয়েছিলেন যশোবন্ত সিং।লালকৃষ্ণ
আডবাণী এবং অটল বিহারী
বাজপেয়ীর নেতৃত্বে প্রথম এন ডি
এ সরকারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে সামলেছিলেন তিনি। ১৯৯৮
থেকে ২০০২ বিদেশমন্ত্রক, ২০০০
থেকে ২০০১ প্রতিরক্ষামন্ত্রক, ২০০২
থেকে ২০০৪ অর্থ মন্ত্রকের
মত গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও সততার
সঙ্গে সামলেছিলেন। ১৯৮০
সালে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে প্রথমবার
জাতীয় রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ হয় যশোবন্ত সিং
এর। সংসদে
পাবলিক একাউন্ট কমিটির সহ একাধিক
গুরুত্বপূর্ণ কমিটির সদস্য ছিলেন
তিনি। ১৯৮৯
সালে রাজস্থানের চিত্তরগড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে
সংসদ নির্বাচিত হন।ওই
একই কেন্দ্র থেকে ১৯৯১, ১৯৯৬
লোকসভা নির্বাচনে জয় যুক্ত হন।১৯৯৬
সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর
১৩ দিনের সরকারের অর্থমন্ত্রী
হন যশবন্ত। নিজের
বর্ণময় রাজনৈতিক জীবনে তিনি চারবার
লোকসভার সাংসদ এবং পাঁচবার
রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছিলেন।তাকে বিজেপির অন্যতম
প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে অভিহিত করা
হয়েছে।

রাজনীতির
মাধ্যমে দেশকে সেবা করবেন
বলে সেনাবাহিনী থেকে আগাম অবসর
নেন
।ছয়
এর দশকে রাজনীতিতে যোগদান
করলেও জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপে
আসেন আটের দশকে।
দেশের বাণিজ্যের পরিস্থিতি আরো সুগম এবং
সরল করে তোলার জন্য
কাস্টম ডিউটি ​​হার কমিয়ে দিয়ে
ছিলেন তিনি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন। ১৯৮০
থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত
সাংসদ হিসেবে দেশকে সেবা
করে গিয়েছিলেন। এমনকি
যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদেও
নিজের কাজের ছাপ রেখে
গিয়েছেন। ২০০৪
থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে
তার বাগ্মিতা আজও অনেকে ভোলেনি। বাণিজ্যিক
সহ একাধিক বিষয়ে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক
সুগম করতে তিনি বিশেষ
ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান
অপহরণ কাণ্ডে ভারতীয় যাত্রীদের
উদ্ধার করতে বিশেষ ভূমিকা
পালন করেছিলেন। ২০০৯
সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির
পরাজয়ের পর দলের অন্দরে
সরব হয়ে ওঠেন যশোবন্ত।পরাজয়ের
কারণ খতিয়ে দেখার দাবি
তুলতে থাকেন তিনি।
শেষের দিকে দলের সঙ্গে
তার দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। যদিও
নিয়মিত তার খোঁজখবর রাখতেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.