ঘোষণা করা হয়েছিল গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে। লোকসভা ভোটের আগে রেলে প্রায় দেড় লক্ষ পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত রীতিমতো চমক হিসেবে কাজ করেছিল। ঘোষণা মতো হয়ে গিয়েছিল ফর্ম ফিলাপও। প্রায় দেড় লক্ষ পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় ২ কোটি ৪২ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়ে। কিন্তু ওই ফর্ম ফিলাপ পর্যন্তই। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আর এগোয়নি। প্রায় দেড় বছর অপেক্ষার পর চাকরিপ্রার্থীরা বেছে নেন বিক্ষোভের পথ। করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনেই চলছিল পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন। অবশেষে এল আংশিক সাফল্য। প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হল রেলের তরফে।
গত দিন কয়েক ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিংয়ের একেবারে শীর্ষে ছিল রেলের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার দাবি সংক্রান্ত দুই হ্যাশট্যাগ #RRBExamDates এবং #speakupforSSCRaliwaysstudents। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী এই হ্যাশট্যাগে টুইট করছিলেন। সেই সঙ্গে বাড়ছিল বিজেপি বা সরকারের পোস্ট করা ইউটিউব ভিডিওতে ডিসলাইকের সংখ্যা। চাকরি প্রার্থীদের অরাজনৈতিক আন্দোলনে লেগেছিল রাজনীতির রংও। গতকালই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) চাকরিপ্রার্থীদের সমর্থনে টুইট করেছিলেন। সব মিলিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন গতি পাচ্ছিল। অবশেষে দেড় বছরের বেশি সময় অপেক্ষার পর অন্তত পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।
শনিবার ভারতীয় (Indian Railways) রেলের রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের (RRB) চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন, রেলের অন্তত ১.৪০ লক্ষ পদে নিয়োগের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে প্রথম দফার কম্পিউটার বেসড টেস্ট শুরু হবে। তিন ধরনের শ্রেণিতে নিয়োগ হবে। এক, নন টেকনিক্যাল পপুলার ক্যাটেগরি (গার্ড, ক্লার্ক প্রভৃতি), দুই, আইসোলেটেড অ্যান্ড মিনিস্টেরিয়াল এবং তিন, লেভেল ১ (ট্র্যাক মেনটেনার, পয়েন্টসম্যান প্রভৃতি)। মোট পদ ১,৪০,৬৪০টি। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও এদিন এই খবর জানিয়ে টুইট করেছেন।