সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের। আই লিগে (I-League) খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ ফুটবলারদের অর্থ সংস্থান করতে লাল-হলুদ কর্তারা যখন গলদঘর্ম হয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই গত মরশুমের সাতজন ফুটবলারের বেতন সংক্রান্ত চিঠি পাঠাল ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি। যার উত্তর আগামী ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলকে পাঠাতে হবে ফেডারেশনকে (Federation)।
কোয়েস থাকার সময় যে যে ফুটবলাররা পুরো বেতন পাননি, অথবা যাঁদের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ফিফার (FIFA) শরণাপন্ন হয়েছেন। কেউ ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) কাছে আবেদন করেছেন। কেউ আবার লালরিন ডিকার মত চুক্তির অঙ্ক নিয়ে ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। কোলাডো, কার্লোসরা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন ফিফায়। রক্ষিত দাগার, পিন্টু মাহাতো, অভিষেক আম্বেকর, আভাস থাপা, হাওকিপের মত সাত ফুটবলার প্রথমে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছে। এফপিএআই সেই চিঠি পাঠিয়ে দেয় ফেডারেশনের কাছে। এঁদের মধ্যে রক্ষিত দাগার এবং আভাস থাপা দাবি করেন যে, গত মরশুমের এক মাসের বেতন তাঁরা পাননি। বাকি পাঁচ ফুটবলার দাবি করেন, তাঁদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের আরও এক মরশুমের চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি ইস্টবেঙ্গলকে মান্যতা দিতে হবে।
এই সাতজন ফুটবলারই অবশ্য প্রথমে মেল করেছিলেন কোয়েস কর্তাদের কাছে। কোয়েসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ফুটবলারদের যাবতীয় সমস্যা এখন থেকে জানাতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। এনওসি দেওয়ার সময় কোয়েসের পক্ষ থেকে শর্ত ছিল, ইস্টবেঙ্গলকে লিখিত দিতে হবে, কোয়েসের যাবতীয় দায়বদ্ধতা নিতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। এমনকী, লাইসেন্সিং প্রক্রিয়াতেও ফেডারেশনকে মুচলেকা দিয়ে ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছে, গত মরশুমের ফুটবলারদের বকেয়া তারাই মেটাবে। এরপর পিন্টুদের প্রথমে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা জানান, চুক্তিমতো পরের মরশুমেও তাঁদের রেখে দিতে রাজি আছে ক্লাব। কিন্তু চুক্তির অঙ্ক অর্ধেক করতে হবে। লাল-হলুদের প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ফেডারেশনের শরণাপন্ন হয়েছেন পিন্টু, অভিষেক আম্বেকররা। আর তাতেই ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির চিঠি। যার উত্তর ইস্টবেঙ্গলকে দিতে হবে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এর উপর কোলাডোদের ফিফার ব্যাপারটা কী হবে, কেউ জানে না। ফলে এনওসি দেওয়ার জন্য সরাসরি অর্থ না নিলেও ঘুরপথে যে পরিমাণ আর্থিক বোঝা কোয়েস ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গল এখন বুঝতে পারছে।