করোনা রোগী দ্রুত চিহ্নিত করার জন্য প্রতিদিনই বাড়ছে টেস্টের সঙ্গে। তবে টেস্ট বাড়লে বাড়বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও। মাস খানেক আগে একথাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বর্তমান ছবিটা ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। টেস্ট বাড়লেও গত চারদিন ধরে সংক্রমণ তুলনামূলক কম। গত তিনদিনের মতোই বৃহস্পতিবারও ৩ হাজারের গণ্ডি পেরল না সংক্রমিতের সংখ্যা। রাজ্যে একদিনে আক্রান্তের তুলনায় বেশি করোনাজয়ীর সংখ্যাই। সুস্থতার হার ৮০ শতাংশেরও বেশি। যা স্বস্তি দিচ্ছে বঙ্গবাসীকে।
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৭ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতায় আক্রান্ত ৫৭১ জন। গতকাল কলকাতার তুলনায় উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ সামান্য কম থাকলেও এদিন ফের তা বাড়ল। সেখানে একদিনে সংক্রমিত ৬৭৩ জন। তালিকায় এরপরই রয়েছে হাওড়া। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১৫৮ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস (coronavirus)। ফলে রাজ্যে মোটসংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল দেড় লক্ষের গণ্ডি। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৭২ জন করোনার কবলে পড়েছেন। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭০৯-য়। যা গতকালের তুলনায় কম। যদিও এখনও এই মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়ে চলেছে রাজ্যবাসীর। একদিনে রাজ্যে করোনার বলি ৫৩ জন। তিলোত্তমায় ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত ৩,০১৭ জন।
সংক্রমণের সার্বিক চেহারাটা এখনও বিশেষ স্বস্তিজনক না হলেও সুস্থতার ঊর্ধ্বমুখী হারই ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস জোগাচ্ছে। গতকালের তুলনায় অনেকখানি বাড়ল সুস্থতার হার। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৮০.২৮ শতাংশ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টাতে মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮৯ জন। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৭৭০ ও ৭১১ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা জয়ী ১ লক্ষ ২১ হাজার ৪৬ জন।
করোনা রোগীকে চিহ্নিত করতে লকডাউন করার পাশাপাশি ট্র্যাকিং, ট্রেসিং এবং টেস্টিংয়ে জোর দিয়েছে প্রশাসন। কলকাতায় বাড়ি বাড়ি গিয়েও শুরু হয়েছে কোভিড টেস্ট। বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৪৭৪টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭ লক্ষ ১৬ হাজার ৬০৭টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে।