পয়গম্বর বিতর্কের জেরে এবার বাংলায় বলি এক। বিক্ষোভকারীদের টানা রেলপথ অবরোধ বিক্ষোভের জেরে ট্রেনেই মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। আজ হাওড়ার দেউলটি স্টেশনের কাছে মৃত্যু হয় কে শ্রীনু নামক সেই যাত্রীর। জানা গিয়েছে, চিকিৎসা করাতে হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন শ্রীনু। সেখান থেকে সেকেন্দরবাদ-শালিমার সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এই আবহে অবরোধের জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেনেই বসে থাকতে হয় তাঁকে। এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীনু। ট্রেনেই পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
জানা গিয়েছে, শ্রীনুর লিভারের সমস্যা ছিল। এই আবহে টানা সাত ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় ট্রেনে বসে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ট্রেনটি যখন দেউলটি স্টেশনের কাছে, তখন শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শ্রীনু। উল্লেখ্য, নবি হজরত মহম্মদকে নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হাওড়া। গত বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে হাওড়ায়। হিংসার জেরে আজকে উলুবেড়িয়া সাবডিভিশনে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।
এদিকে এদিন ফের একবার মানুষজনকে শান্ত হওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বাংলায় একটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি এই হিংসার ঘটনার নেপথ্যে ‘ষড়যন্ত্রে’র তত্ত্ব খাড়া করেছেন। এদিন টুইট বার্তায় মমতা লেখেন, ‘আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?’ এদিকে হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে ৭০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হিংসাত্মক বিক্ষোভ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি এবং পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।