কানাডার পার্লামেন্টে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কানাডায় একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র আর্চ নামে ওই পার্লামেন্ট সদস্য। তার পরেই ওই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
বুধবার আর্য বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে, গ্রেটার টরন্টো এরিয়া, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং কানাডার অন্যান্য জায়গায় হিন্দু মন্দিরগুলিতে হামলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এডমন্টনে স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলা হয়। তার প্রতিবাদ জানানোর পরেই আমাকে এবং আমার হিন্দু অনুগামীদের কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন পন্নুন।’’ খলিস্তানি কট্টরপন্থীরা কানাডার বিভিন্ন অংশে ভারতবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন-সহ কয়েকটি দেশে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এসএফজে চায় পঞ্জাবের মধ্যে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম’ রাষ্ট্র গড়তে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই পন্নুনের এই সংগঠনকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। জানিয়েছিল, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্য বড়সড় হুঁশিয়ারি এই সংগঠন। সেই মেয়াদ শেষের ঠিক আগেই গত ৯ জুলাই আরও পাঁচ বছরের জন্য তা বাড়ানো হয়েছে। তার পরেই নতুন করে কানাডায় ভারত বিরোধী তৎপরতা বাড়িয়েছে এসএফজে।
আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেন-সহ কয়েকটি দেশে সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এসএফজে চায় পঞ্জাবের মধ্যে ‘স্বাধীন এবং সার্বভৌম’ রাষ্ট্র গড়তে। ২০১৯ সালের ১০ জুলাই এসএফজে-কে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। জানিয়েছিল, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্য বড়সড় হুঁশিয়ারি এই সংগঠন। সেই মেয়াদ শেষের ঠিক আগেই মঙ্গলবার আরও পুরো পাঁচ বছরের জন্য তা বাড়ানো হল।
পঞ্জাবে পান্নুনের বিরুদ্ধে প্রায় দু’ডজন ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি দেশদ্রোহিতার। এসএফজের বিরুদ্ধে কানাডার পাশাপাশি, আমেরিকা এবং ব্রিটেনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলার অভিযোগ রয়েছে। এপ্রিলে আমেরিকার প্রথম সারির দৈনিক ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, আমেরিকার মাটিতে খলিস্তানি জঙ্গিনেতা (পোস্ট অবশ্য তাকে মোদী সরকার বিরোধী হিসেবে বর্ণনা করেছে) পন্নুনকে হত্যার চেষ্টা করেছিল ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’। যদিও নয়াদিল্লি সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয়।