সবে শেষ হয়েছে খেলা। তখনও কোর্ট ছাড়েননি খেলোয়াড়েরা। কোর্টের দরজা খুলে এক দৌড়ে বেরিয়ে গেলেন সদ্য সোনাজয়ী। ব্যাগ থেকে মোবাইল বার করে আবার ঢুকে গেলেন কোর্টে। তখন ঘেরা কোর্টে তিনি একা। ভিডিয়ো কল চলে গেল প্রিয়জনের কাছে।
যিনি ফোন করলেন তাঁর নাম দীপিকা পাল্লিকাল। যাঁকে ফোন করলেন, তাঁর নাম দীনেশ কার্তিক। সোনা জয়ের পরেই স্বামীকে খুশির খবর দিলেন দীপিকা। ভারতীয় ক্রীড়া মহলে দু’জনেই পরিচিত মুখ। তাঁদের পরিচয় হয়েছিল জিমে ট্রেনিং করতে গিয়ে। সেই থেকেই জুটি বাঁধেন তাঁরা। কার্তিকের প্রথম স্ত্রী বন্ধু মুরলি বিজয়কে বিয়ে করে চলে গেলেও দীপিকা সঙ্গ ছাড়েননি। এক সময় দু’জনেই বাদ পড়েছিলেন জাতীয় দল থেকে। সেই কঠিন সময় থেকেই তাঁরা পরস্পরের পাশে। ক্রমাগত একে অন্যকে উৎসাহ দিয়েছেন। ফিটনেস বৃদ্ধি করতে পাল্লা দিয়ে ট্রেনিং করেছেন।
কঠোর পরিশ্রমের সুফল পেয়েছেন দু’জনেই। গত বছর আইপিএলে কার্তিকের আগ্রাসী ব্যাটিং দেখেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। সেই পারফরম্যান্সের সুবাদে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলেছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর প্রথম বার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক জিতেছিলেন দীপিকাও। এ বারের গেমসে দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জও জিতেছেন তিনি।
কার্তিক আছেন ক্রিকেটেই। ভারতীয় দলে না থাকলেও ব্যস্ততা তুঙ্গে। বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন অধিনায়ক। দীপিকা চিনে এশিয়ান গেমসের লড়াইয়ে। মিক্সড ডাবলসের সোনা জিতেই খুশির খবর দিতে কোর্ট থেকেই ভিডিয়ো কল করেন কার্তিককে। খবর অবশ্য কার্তিক আগেই পেয়েছিলেন। স্ত্রীর ফাইনালের সরাসরি সম্প্রচার দেখেন তিনি। খেলা শেষ হতেই সমাজমাধ্যমে ভেসে ওঠে কার্তিকের পোস্ট। স্ত্রীর পাশাপাশি তিনি অভিনন্দন জানান হরিন্দর পাল সিংহ সান্ধুকেও। মিক্সড ডাবলসে দীপিকার সোনা জয়ের সঙ্গী তিনি।
এশিয়ান গেমসে স্ত্রীর খেলা ছাড়াও নজর রয়েছে কার্তিকের। তাঁর প্রিয় ক্রিকেটও রয়েছে এ বারের গেমসে। মেয়েরা সোনার জেতার পর নজর এখন পুরুষ দলের দিকে। শুক্রবার সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারাতে পারলেই রুপো নিশ্চিত হয়ে যাবে রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের।