কয়েকদিন আগেই শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিন টিকার প্রয়োগের ছাড়পত্র দিতে ড্রাগস অ্যান্ড কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে সুপারিশ করেছিল সিলেক্ট এক্সপার্ট কমিটি। তবে সেই সুপারিশের ৪ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও এই সংক্রান্ত সবুজ সংকেত দেখাল না ডিসিজিআই। উত্সবের মরশুমে কোভিড ছড়ানোর আশঙ্কার মাঝে শিশুদের টিকাকরণ শুরু হলে কোভিডের পরবর্তী ঢেউ মোকাবিলা করা যাবে মনে মত বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে কোভ্যাক্সিনকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে বিলম্বের জেরে তৈরি হয়েছে নানা গুঞ্জন। জানা গিয়েছে শিশুদের উপর এই টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রযুক্তিগত মতামত চাওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে হায়দরাবাদ ভিত্তিক ভারত বায়োটেক ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের উপর কোভাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফেজ-২ এবং ফেজ-৩ সম্পন্ন করেছিল। এইমস সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। এরপর চলতি মাসের শুরুতে ড্রাগস অ্যান্ড কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার কাছে ট্রায়াল সংক্রান্ত তথ্যও জমা দিয়েছিল তারা। সেই তথ্য খতিয়ে দেখেই শিশুদের উপর কোভাক্সিন প্রয়োগের বিষয়ে ডিসিজিআইকে সুপারিশ করে সিলেক্ট কমিটি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি বেশ কিছুদিন আগেই ছোটদের জন্য টিকা প্রয়োগের জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে জাইকোভ-ডি। তবে জাইকোভ ডি টিকার অনুমোদন সংক্রান্ত চূ়ডান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। সরকারের তরফের এক কর্তা এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘শিশুদের কোভিড টিকাকরণ নিয়ে আমাদের অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এমনকি উন্নত দেশগুলোও তাদের শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করলেও এই বিষয়ে সতর্কতার সাথে কাজ করছে। পুরো বিশ্ব এই বিষয়টির উপর নজর রেখেছে এবং আমরা কোনও ভাবেই পিছলে যেতে পারি না।’
জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত মতামত গ্রহণের কাজ শেষ হলেই খুব শীঘ্রই শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনের ছাড়পত্র দেওয়ার খবর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে দেশের ২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও করোনা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতা অর্জন করবে।