বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে মেরি কম

ছ’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। একবারের রানার্স। অর্থাৎ, ইতিমধ্যেই বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ৬টি সোনা ও ১টি রুপোর পদক রয়েছে এমসি মেরি কমের ঝুলিতে। ওয়েট ক্যাটাগরি বদলে লন্ডন অলিম্পিকের ব্রোঞ্জ জয়ী মেরি কম এবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে নেমেছেন রেকর্ড ৭ নম্বর সোনা তথা অষ্টম পদকের লক্ষ্যে। ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি টুর্নামেন্টের শুরুটা করলেন দুরন্তভাবে।

তৃতীয় বাছাই মেরী কম প্রথম রাউন্ডে বাই পেয়েছিলেন। ৫১ কেজি বিভাগের প্রি-কোয়ার্টারে তিনি ৫-০ ব্যবধানে পরাজিত করেন থাইল্যান্ডের জুটামাস জিটপংকে। সেইসঙ্গে ঢুকে পড়েন শেষ আটের বৃত্তে।

সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে মেরি কম প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল জিতলেও লড়াইটা অত সহজ হয়নি ৩৬ বছর বয়সী মনিপুরী বক্সারের পক্ষে। থাই প্রতিপক্ষ শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ধরা দেওয়ায় বাউটের প্রথম তিন মিনিট রক্ষণাত্মক থাকতে হয় মেরি কমকে। রিংয়ে প্রথম তিন মিনিট সময় ধরে প্রতিপক্ষকে মেপে নেওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নেন এবং নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কোণঠাসা করেন জুটামাসকে।

মেরি কম কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিলেও ভারতের পক্ষে খারাপ খবর হল সুইটি বুরার ছিটকে যাওয়া। ওয়েলসের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ লরেন প্রাইসের বিরুদ্ধে তুল্যমূল্য লড়াই চালিয়েও হার মানতে হয় প্রাক্তন রুপো জয়ী সুইটিকে। গোটা বাউট জুড়ে অভিজ্ঞ প্রাইসকে বিব্রত করলেও বিচারকরা শেষমেশ ওয়েলস তারকার অনুকূলেই নিজেদের রায় দেন। সুইটিকে হার মানতে হয় ১-৩ ব্যবধানে।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন প্রাইসের ঝুলিতে কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক ছাড়াও রয়েছে আরও তিনটি ইউরোপিয়ান ব্রোঞ্জ পদক। গতবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এমন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হারতে হলেও প্রশংসা কুড়িয়েছে সুইটির দুরন্ত লড়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.