জনসংখ্যায় শীর্ষে ভারত! ২০২২ সালেই চিনকে ছাপিয়ে মাইলস্টোন, প্রকাশ্যে রিপোর্ট

 গতকালই প্রকাশ্যে এসেছে ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকসের রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে, হুহু করে জনসংখ্যা (Population) কমছে চিনে (China)। সেখানে ২০২২ সালে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার গত ষাট বছরে সর্বনিম্ন। এবার ঐতিহাসিক দাবি করল ব্লুমবার্গ। তাদের তথ্য অনুযায়ী, চিনের জনসংখ্যা কমা ও ভারতে বাড়ার কারণে ইতিমধ্যে শি জিন পিংয়ের দেশকে ছাপিয়ে ভারতই জনসংখ্যায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর রাষ্ট্রসংঘের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, দ্রুত চিনকে পিছনে ফেলবে ভারত, কিন্তু তা এত তাড়াতাড়ি ঘটবে অনেকেই ভাবেননি।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষে ভারতের জনসংখ্যা পৌঁছেছে ১৪১ কোটি ৭০ লক্ষে। সেখানে চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৫০ লক্ষ। অর্থাৎ গত বছরেই ভারতের জনসংখ্যা ২০ লক্ষ বেশি হয়েছে। আগামী দিনে এই ব্যবধান ব্যাপক হার বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ম্যাকরোট্রেন্ডস নামের একটি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ২০২২-এ ভারতের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি ৮০ লক্ষ হয়েছে। চিনের থেকে ৩০ লক্ষ বেশি। তবে ব্লুমবার্গের একই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতেও জন্মহার কমছে। তথাপি চিনের থেকে বেশি হওয়ায় ২০৫০ সাল অবধি উভয় দেশের জনসংখ্যার ব্যবধান বজায় থাকবে।

ন্যাশনাল ব্যুরো স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বলছে, ১৪১ কোটির চিনে গত বছর জনসংখ্যা কমেছে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার। সেখানে একই সময়ে জন্ম হয়েছে ৯৫ লক্ষ শিশুর। ১৯৫০ সালের পর যা সবচেয়ে কম। এছাড়া ২০২২ সালে কোভিড ও অন্য কারণে ১ কোটি ৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে চিনে জন্মহার কমে হয়েছে ১৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৬০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন।

অর্থাৎ একদিকে কোভিডে মৃত্যু বহু মানুষের, অন্যদিকে জন্মহার কমা চিনের জনসংখ্যা কমেছে। মহামারীতে ভারতের বহু মানুষের মৃত্যু হলেও জন্মহারের কারণে জনসংখ্যা বেশি। রাষ্ট্রসংঘ জানাচ্ছে, ২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্ধেকের কারণ হবে এশিয়া ও আফ্রিকার আটটি দেশ। সেগুলি হল কঙ্গো, ইজিপ্ট, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া, ফিলিপিন্স এবং ইন্ডিয়া।

উল্লেখ্য, চিনের বিরাট জনসংখ্যা সেদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এমনকী বিশ্ব অর্থনীতিতে (World Economy) তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এই অবস্থায় ছয় দশকে প্রথমবার চিনের জনসংখ্যার গ্রাফ নিচে নামায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। অপরপক্ষে ২০৫০ অবধি ভারতে জনসংখ্যার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কী প্রভাব পড়তে তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.