এই অর্থবর্ষে সম্ভবত কমছে না হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ,’কার্যকর হচ্ছে না’ শ্রমবিধি

চলতি অর্থবর্ষে সম্ভবত ‘টেক হোম স্যালারি’-র পরিমাণ কমছে না। কারণ চলতি অর্থবর্ষে সম্ভবত চারটি নয়া শ্রমবিধি কার্যকর করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, খসড়া নীতি তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির বিলম্বতা এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের মতো রাজনৈতিক কারণে জন্য আটকে আছে নয়া শ্রমবিধি।

ওই সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘নয়া শ্রমবিধির আওতায় নিয়ম তৈরি করে ফেলেছে শ্রম মন্ত্রক। কিন্তু খসড়া বিধি তৈরি এবং নয়া শ্রমবিধির আওতায় কারা থাকেন, তা চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি ঢিমেতালে চলছে। তাছাড়া রাজনৈতিক কারণেও সরকার নয়া চারটি শ্রমবিধি কার্যকর করতে ইচ্ছুক নয়। মূলত উত্তরপ্রদেশে (আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হবে) ভোটের কথা মাথায় রাখা হচ্ছে।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

সেই নয়া শ্রমবিধির আওতায় চাকুরীজীবীদের ‘টেক হোম স্যালারি’ বা হাতে পাওয়ার বেতনের পরিমাণ কমে যেতে পারে। সংস্থাগুলিকে প্রভিডেন্ট ফান্ডে বেশি টাকা দিতে হবে। নয়া বিধি অনুযায়ী, কর্মচারীরা যে বেতন পান, তার ৫০ শতাংশের বেশি হতে হবে ‘বেসিক স্যালারি’। সেরকম হলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বেশি টাকা পড়বে। কিন্তু টেক হোম স্যালারি’ বা হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমতে পারে। অর্থাৎ নয়া শ্রমবিধি যদি কার্যকর হয়, তাহলে কর্মচারীদের মাসিক ভাতা (অ্যালোয়েন্স) ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। সেই ৫০ শতাংশের মধ্যে ট্র্যাভেল অ্যালোয়েন্স, হাউজ রেন্ট, ওভারটাইমের মতো-যাবতীয় ভাতা (অ্যালোয়েন্স) দিতে হবে। তার ফলে কর্মীদের সিটিসি বা ‘কস্ট টু কোম্পানি’-এর (যে টাকায় চুক্তি হচ্ছে) কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। বেতন সংক্রান্ত শ্রমবিধিতে ‘মজুরি’-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, তিনটি বিষয় থাকবে – বেসিক পে (মূল বেতন, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সেটির যোগ থাকবে), মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোয়েন্স বা ডিএ) এবং রিটেনশন পেমেন্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.