ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে Covaxin 50% কার্যকর: গবেষণার ফলাফলে নয়া তথ্য

করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৫০% কার্যকর কোভ্যাক্সিন। চলতি বছর ভারতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে-এর মধ্যে হওয়া গবেষণার উপর ভিত্তি করে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিনের আনুমানিক কার্যকারিতা ৬৫% ছিল। তবে রিয়েল ওয়ার্ল্ড রিপোর্টে সেটি দাঁড়াচ্ছে কিছুটা কম।

সার্স-কোভি়ড-২-এর বেশি সংক্রামক ভেরিয়েন্ট ডেল্টা। আর এর বিরুদ্ধে প্রায় সমস্ত ভ্যাকসিনই তুলনামূলকভাবে কম কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। তবে সংক্রমণের বাড়াবাড়ি আটকাতে টিকার ভূমিকা অনস্বীকার্য, মত বিশেষজ্ঞদের।

ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

বুধবার বিকেলে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করতে মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন মমতা
পেগাসাস নিয়ে কড়া বার্তা Appleএর প্রতীকী ছবি (PTI/File)
আমাদের ব্যবহারকারীদেরও টার্গেট করেছিল, পেগাসাস নিয়ে আইন ….
(ছবিটি প্রতীকী)
বিয়ে করতে আসেননি বর, সিঁদুর পরেই যুবকের বাড়ির সামনে ধ ….
করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন (প্রফুল গঙ্গুরদে / হিন্দুস্তান টাইমস)
বঙ্গভ্যাক্স এবার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পথে

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ফাইজার-বায়োটেকের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৩.৭% থেকে ৮৮%। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা (যেটা ভারতে কোভিশিল্ড) ৭৫% থেকে ৬৭%। আলফা এবং ডেল্টা ভেরিয়েন্ট, দুইয়ের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা তুলনা করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাগুলি আরও কমে যেতে পারে।

তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনের আনুমানিক কার্যকারিতা প্রায় ৬৫% ছিল। সামগ্রিকভাবে, ২৫ হাজার জনের উপর করা ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ৭৭.৮% কার্যকারিতার হার ছিল।

এর মধ্যে ডেল্টা ভেরিয়েন্টই করোনা কেসের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী ছিল। মোট কেসের ৮০%-ই এই ভেরিয়েন্ট থেকে হয়েছিল।

‘আসলে ৫০% হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাবিত সর্বনিম্ন মাত্রা। যত বেশি হবে, ততই ভাল। এমআরএনএ প্ল্যাটফর্মে পরীক্ষা চালু হওয়ার পরেই ৯০% বা তার বেশি উচ্চ মাত্রার কার্যকারিতা এসেছে। অন্যথায় ৫০% বেশি হলেই তা গ্রহণযোগ্য,’ জানালেন এক বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি, পুনের অংশীদারিত্বে কোভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.