পঞ্চম পর্ব

মলুটীর মন্দিরগুলোর সাইড প্যানেলের নিচের দিকে সারিবদ্ধ ভাবে ছোট ছোট ফলক আছে। কোনো ফলকে একটিমাত্র চিত্র, আবার কোথাও পাশাপাশি একাধিক জুড়ে চিত্রটি সম্পূর্ণ হয়েছে। যেমন , নৌকাবিলাস বা সেতুবন্ধনের কাহিনী বলা হয়েছে একাধিক ফলকের সমন্বয়ে। সেতুবন্ধনের চিত্রে দেখা যায় একজন বানরদের মাথায় পাথর তুলে দিচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ে তারা সারিবদ্ধ ভাবে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে চলেছে।

 তবে শুধুমাত্র দেবদেবী বা রামায়ণ-মহাভারত, ভাগবতের চিত্রই নয়, সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজকর্মও এই ফলকগুলোতে  বিশেষভাবে স্থান লাভ করেছিল। বাদ যায়নি তৎকালীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও।  গ্রাম্য জীবনের চিত্রগুলোর মধ্যে দেখা যায় গোয়ালা গাই দুইছে,  গাই বাছুরকে চাটছে, দুই বলদ এর কাঁধে জোয়াল চাপিয়ে কৃষক হাল বাইছে, তেলি ঘানিতে তৈলবীজ পেষাই করছে, মেয়েরা কুয়ো থেকে জল তুলছে ইত্যাদি।

 দু-একটি মন্দিরের সেকালের শিকার যাত্রার সুন্দর ছবি পাওয়া যায় । শিকারি দলের পিছনে বাবু হুঁকো খেতে খেতে ডুলি চড়ে শিকারে যাচ্ছে। চার বেহারা তার ডুলি বইছে, আর বাবুর ডুলির নিচে দৌড়ানোর ভঙ্গিতে একটি কুকুরকে দেখা যাচ্ছে। মলুটীর চারিদিকে ঘিরে রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। তারা যখন শিকারে যেত সঙ্গে করে কুকুর থাকতো । হয়তো সেই আদিবাসী সংস্কৃতির প্রভাবেই কুকুরটি এখানে স্থান পেয়েছে।

 এছাড়াও সমান্তরাল দুটি অনুভূমিক মিলিয়ে চতুরঙ্গ সেনা দেখা যায়। একটি ফলকে গাদা বন্দুক কাঁধে তিনটি সৈন্যকে দেখা যায়,  কোমরে তাদের বারুদ , পায়ে তাদের নাগরা ধরনের জুতো,  পড়নে ঘাঘরার মতো পোশাক ও মাথায় বিশেষ ধরনের টুপি…এসব দেখে  সৈন্য বলে অনুমান হয়। 

মলুটীর বিভিন্ন মন্দিরের এইসব প্যানেলগুলো ছাড়াও দরজার দুপাশে ছোট স্তম্ভ, উল্লম্ব অলংকৃত প্যানেল, দরজার মাথায় আর্চ ইত্যাদির কারুকার্যের নান্দনিক মূল্যও অসাধারণ । বিভিন্ন ধরনের পদ্ম ও ফুলপাতার নকশাগুলো সৌন্দর্যও বিস্ময়কর । কিছু অলংকৃত মন্দিরের দেওয়ালের কোণের ঘোড়াগুলোতে ওড়িশার প্রভাব লক্ষণীয়।

মন্দির গুলোর উপরের দিকে , বাঁকানো চাল অথবা ছাদের আলসে বা কার্নিসের ঠিক নিচে মন্দির উৎসর্গকারী অর্থাৎ যিনি মন্দির তৈরি করেছিলেন তার নাম এবং মন্দির নির্মাণের সাল-তারিখ লেখা প্রতিফলক থাকত। বর্তমানে মাত্র একাদশটি মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ফলক দেখা যায়,  যদিও সবকটি প্রতিষ্ঠা ফলক অক্ষত নয়। 

অভিলেখাগুলো পুরনো বাংলা বা প্রোটো বাংলা এবং সংস্কৃতে লেখা। সাল – তারিখের ক্ষেত্রে শকাব্দের হিসাব ব্যবহার করা হয়েছে। মন্দির প্রতিষ্ঠার সাল এবং তারিখ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংক্ষেতে লেখা । কয়েকটি মন্দিরে প্রতিষ্ঠার বছরটি সাংকেতিকভাবে লেখা শুরু হলেও প্রতিষ্ঠালিপির শেষ পংক্তিতে সাল, তারিখ, বার সবই সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে। শ্ৰী জয়ন্ত কুমার মুখোপাধ্যায় মলুটীর বিভিন্ন মন্দিরের প্রতিষ্ঠালিপিগুলোর পাঠোদ্ধার করেছেন , যার থেকে পাঁচটি উদাহরণ #নানকার_মলুটী গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে । সেগুলো থেকে জানা যায়  বর্তমান ৭২ টি মন্দিরের মধ্যে প্রাচীনতমটি মৌলীক্ষা তলায় অবস্থিত। মলুটীর নানকার রাজবংশের প্রথম রাজা রাখড়চন্দ্র ১৭১৯ খ্রিস্টাব্দে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে  শেষ মন্দির তৈরি করান রাজার তরফের বিশ্বেশ্বরী দেবী। 

 এই প্রতিষ্ঠালিপি বা অভিলেখগুলো থেকে মলুটী  রাজবংশ এবং নানকার রাজ্যের তৎকালীন আর্থসামাজিক অবস্থার বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যায়। যেমন – 

ছয় তরফের গোকুলচন্দ্রের মাতা ঘৃতবতী দেবী ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ বাংলার ১১৭৬ সনে অর্থাৎ ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় একটি শিব মন্দির নির্মাণ করিয়েছিলেন । স্বাভাবিকভাবেই বহু অনঐতিহাসিক এবং বুদ্ধিজীবী ব্যক্তিত্বরা প্রশ্ন করবেন যে ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে বাংলা ও  বিহারের ১ কোটি ৫০ লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, গাঁ গঞ্জ শ্মশান হয়েছিল , সেই দুর্দিনে এমন মন্দির নির্মাণ করার কারণ কি ? কারণ এটাই ছিল যে, মন্দির নির্মাণ গ্রাম গঞ্জের মানুষকে শ্রমিকের কাজ দানের মধ্যে দিয়ে কিছুটা অন্নসংস্থানের চেষ্টা-  সরাসরি ভিক্ষা নয়। সেই কারণে অনেক পণ্ডিত ও গবেষকদের কাছে মলুটীর মন্দিরের অলংকরণের চেয়ে, এই লিপিগুলো বেশি আগ্রহ এবং কৌতূহলের বস্তু হয়ে উঠেছে।

মলুটীর মন্দিরের অলংকরণগুলো টেরাকোটা নাকি #ফুলপাথর নামে এক ধরনের লালচে নরম পাথরের কারুকার্য তা নিয়ে বিতর্ক আছে ।তারাপদ সাঁতরা বলেছেন :

 বীরভূম জেলার মধ্যস্থল দক্ষিণ-পশ্চিমে চিনপাই থেকে উত্তর-পূর্বে তারাপীঠ মন্দিরের দেওয়ালের অলংকরণে এমন ফুলপাথর ব্যবহার করা হয়েছে ।…..এই উপাদানের ব্যবহার পশ্চিমবঙ্গের আর কোথাও বিশেষ দেখা যায়না। বীরভূম জেলার মধ্যে ফুলপাথরের অলংকরণ যুক্ত যে সমস্ত মন্দির দেখা যায় তার মধ্যে সবথেকে বেশি সংখ্যার মন্দির হল গণপুর এবং মল্লারপুর । এছাড়াও চিনপাই, লাভপুর , ইলামবাজার, তারাপীঠ ,সিউড়ির সোনাতরপাড়া প্রভৃতি স্থানেও এই জাতীয় অলঙ্করণযুক্ত মন্দির বিদ্যমান । এর মধ্যে তারাপীঠ ও সোনাতরপাড়ার মন্দির দুটি অলঙ্করনে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ। তদুপরি, রামপুরহাটের দক্ষিণ পশ্চিমে  পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে অবস্থিত বিহার রাজ্যের সাঁওতাল পরগনার ( বর্তমানে ঝাড়খন্ড)  অন্তর্গত প্রাচীন বাঙ্গালী ভূস্বামীদের প্রতিষ্ঠিত  প্রায় পঞ্চাশটি ছোট বড় বাংলারীতির মন্দিরও একই উপাদানে অলংকৃত ।এক্ষেত্রে #টেরাকোটায় উৎকীর্ণ বিষয়বস্তুর মতো ফুলপাথরেও খোদিত হয়েছে লঙ্কাযুদ্ধ, দশাবতার ,কৃষ্ণলীলা ও নানাবিধ পৌরাণিক উপাখ্যান ইত্যাদি। প্রসঙ্গত  উল্লেখ করা যেতে পারে ফুলপাথরে খোদাই অলংকরণের মধ্যে যে সূক্ষ্মতা ও সজীবতা দেখা যায় পোড়ামাটির ভাস্কর্য তা দেখা যায় না ।

শ্ৰীমতী শ্ৰীলা বসু ও অভ্র বসু তাঁদের গবেষণা গ্রন্থ ” বাংলার টেরাকোটা মন্দির” – এ মলুটীর মন্দির অলঙ্করণকে ফুলপাথরের কাজ বলেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

কিন্তু নানকার মলুটী গ্রন্থাকার শ্রদ্ধেয় গোপালদাস মুখোপাধ্যায় , যিনি প্রায় পাঁচ দশক ধরে মলুটী নিয়ে গবেষণা করেছেন , তাঁর বক্তব্য থেকে জানা যায় :

প্রতি বছর পূর্বদিকে বৃষ্টির ছাঁট লেগে টেরাকোটা অলংকৃত পূর্বমুখী মন্দিরগুলোর নিচে প্রায় পাঁচ ফুট অংশে সম্পূর্ণ নোনা লেগে গেছে । মাটির হাঁড়িতে লবন রাখলে হাঁড়ির যা অবস্থা হয় , অলঙ্করণগুলোর অবস্থাও সেইরূপ হয়েছে। আরও উপরে, কিছু অংশে মূর্তিগুলোও অস্পষ্ট হয়ে গেছে। 

তাছাড়া আর একটি বিষয়েও তাঁর খটকা লাগে । সেটি হল শ্ৰী তারাপদ সাঁতরা মলুটীতে প্রায় পঞ্চাশটি অলঙ্কৃত মন্দিরের  কথা বললেও সেখানে কালের কবল থেকে রক্ষা পাওয়া মন্দিরগুলোর মধ্যে কোনোদিনই তিরিশটির অধিক অলঙ্কৃত মন্দির ছিলনা। তাই অনেক কিছু নিয়ে বিতর্ক থেকে গেছে। 

এমত অবস্থায় গোপালদাসবাবু মলুটীর একটি মন্দিরের অলঙ্করণের ভাঙা অংশ নিয়ে পরীক্ষার জন্য শ্রীমতী কেকা মুখোপাধ্যায়ের মাধ্যমে Central Glass and Ceramic Research Institute ( যাদবপুর ) পাঠান।  সেই পরীক্ষার ফলে বলা হয় :

The sample contains red clay and brownish black and reddish brown ferruginous materials. These ferruginous materials are lineonite and goethite. Concentric banding of goethite are found occur within red clay. Irregular brownies black small ferruginous materials are scattered within the clay materials.Very few fine silica are found to occur within red.

এই রিপোর্ট এবং পূর্বে উল্লেখ করা পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে শ্ৰী মুখোপাধ্যায়ের মনে হয়েছে যে, মলুটীর মন্দিরগুলো টেরাকোটা বা পোড়ামাটির অলঙ্করনেই সুসজ্জিত  হয়ে আছে।

শ্ৰী মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ এবং সেন্ট্রাল গ্লাস এন্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট সম্পর্কে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।থাকা উচিতও নয়।  তারাপদ সাঁতরা নিজে মলুটী এসেছেন কিনা সেটাও খুব বড় প্রশ্ন নয় । হয়তো এসেছেন , হয়তো বা আসেননি । হয়তো বা এসে সব মন্দির দেখে গুনে গেঁথে উঠতে পারেননি। তাই হয়তো তিনি বলেছেন আন্দাজে, প্রায় পঞ্চাশটি অলংকৃত মন্দিরের কথা। আর যদি নিজের না এসে অন্য কারোর মুখেও শুনে থাকেন,  তাহলেও বলতে হয় যে তাঁর মত বিশেষজ্ঞ যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির,  যিনি টেরাকোটা এবং ফুলপাথরের নকশার তফাৎ বুঝতে পারেন , কাছে না শুনলে কথাগুলো আদৌ লিখতেন  বলে মনে হয় না।

 গোপালদাস মহাশয়ের মতে মলুটী মন্দিরগুলোর টেরাকোটার কাজের অতি উচ্চমানই এগুলিকে ফুলপাথর বলে ভুল করার কারণ। কিন্তু প্রশ্ন হলো বাংলায় এমন বেশ কিছু মন্দির আছে যাদের টেরাকোটা অলঙ্করণের মান অত্যন্ত উঁচু হওয়া সত্বেও তাদের কেন্দ্র করে এ ধরনের বিতর্ক দেখা দেয়নি। তাহলে মলুটীর ক্ষেত্রেই এমন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে কেন?

ত্রিশটি অলংকৃত মন্দিরের একটি মাত্র মন্দিরের ফলকের নমুনা পরীক্ষা করে কোন সিদ্ধান্তে উপস্থিত করা সঠিক নয় । কারণ দেড়শ বছর ধরে মন্দির গুলো গড়ে উঠেছিল । সেগুলোর কোনটির ক্ষেত্রে টেরাকোটা, আবার কোনটির ক্ষেত্রে ফুলপাথরের অলঙ্করণ ব্যবহার করা হয়ে থাকতেই পারে । সাধারণত বীরভূম জেলার ও সন্নিহিত অঞ্চলে দুটি উপকরণের ব্যবহার দেখা যায়। তাছাড়া মলুটী একসময় বীরভূমের অংশবিশেষ ছিল ।বীরভূম জেলায় যে দুটি এলাকায় ফুলপাথর কারুকার্যের অলংকৃত মন্দির সব থেকে বেশি দেখা যায় তাহলে গণপুর এবং মল্লারপুর । এগুলি মলুটী থেকে খুব দূরে নয়।

পূর্বমুখী মন্দিরগুলোর নিচের দিকে প্রায় ৫ ফুট অংশ বৃষ্টির জল লেগে নোনা ধরে গেছে। সেগুলোর অলংকরণ টেরাকোটার হতেই পারে। কিন্তুু যে মন্দির  গুলো পুবমুখী নয় সেগুলি যে বৃষ্টিতে ভেজে না তা তো নয়। তাছাড়া বৃষ্টিতে ভেজা মাটির জল মন্দিরগুলোর নিচের অংশকে সিক্ত করে । তাহলে সেরকম কিছু মন্দিরে নোনা লাগলো না কেন ? সেগুলো টেরাকোটার হলে নিচের থেকে চার পাঁচ ফুট না হোক দুই এক ফুট জায়গা অবশ্যই নোনা লাগতো!…

তিরিশটি মন্দিরের অলংকরণের নমুনা না হোক , অন্ততঃ নোনা ধরা এবং নানা ধরা এমন কিছু মন্দিরের অংশের নমুনা যদি পরীক্ষা করা সম্ভব হয় ; তাহলে এই সমস্ত বিতর্কের অবসান হয়ে যায়।

টেরাকোটা হোক বা ফুলপাথর শিল্প হিসেবে উভয়ই মূল্যবান। এবং উপাদান হিসেবে দুটিই কমবেশি নরম। সুতরাং আড়াইশো তিনশো বছরের রোদ জলের অত্যাচারে দুটি মাধ্যমেই কিছু পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে । তাদের উপরে খোদাই করা মূর্তি বা নকশাগুলো অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে ফলকগুলোর উপর সরাসরি রোদ এবং বৃষ্টির ঝাপটা বেশি লেগেছে স্বাভাবিকভাবে তাদের ক্ষয় অন্য ফলকগুলোর তুলনায় অধিক হয়েছে।

১৯৮৩ সালে বিহার সরকার ৭২ টি মন্দির অধিগ্রহণ করলেও ,  পরে যখন বিহার ভাগ হয়ে ঝাড়খন্ড হয় তখন ঝারখন্ড সরকার কুড়িটি মন্দির সংস্কার ও সংরক্ষণের দায়িত্ব নেন। কিন্তু কথা হচ্ছে যে বাকি মন্দিরগুলো তাহলে অবহেলায় ধ্বংস হয়ে যাবে?

 সংরক্ষণের বিষয়ে বেশ কিছু বক্তব্য আছে । পুরীর মন্দিরের সংরক্ষণের কাজ যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন যে,মন্দিরের একটি পাথর বদলানোর আগে তার গায়ের কাজগুলো নতুন পাথরে খোদাই করে কপি করে নেওয়া হয় । এক্ষেত্রে মলুটী ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন টেরাকোটা বা ফুলপাথর মন্দিরে তেমন কিছু কিন্তু করা হয় না। এখানে মন্দির তার গঠনগত দিক থেকে আগের চেহারা ফিরে পেলেও,  তার গায়ের অমূল্য অলংকরণ গুলো ছিল তা চিরতরে হারিয়ে ফেলে। এসব অত্যন্ত বেদনাদায়কই শুধু নয়,  এই ঘটনা আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি এবং শিল্পের ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া যদি এখনো তৎপর না হয় তাহলে ভবিষ্যতে মলুটী এবং  বিভিন্ন প্রাচীন মন্দির গুলোর  ভাস্কর্য বলে আর কিছু থাকবে না। মলুটী মন্দিরের আশ্চর্য সুন্দর অলংকরণ সেদিন নানকার রাজত্বের মতোই ইতিহাস ও কিংবদন্তিতে পরিণত হবে।


#সমাপ্ত

©দুর্গেশনন্দিনী

তথ্যঃ ১) মলুটির টেরাকোটার মন্দির

 ২) মন্দিরময় মলুটী 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.