১৪ ডিসেম্বরের আগে ফাঁসির দড়ি তৈরির নির্দেশ, নির্ভয়াকাণ্ডে শাস্তি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

নির্ভয়া-কাণ্ডের চার দোষীর ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ এক জন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছেন৷ এরই মধ্যেই ফাঁসির দড়ি চেয়ে নির্দেশ এল বক্সারের জেলে৷ তারপরই নির্ভয়া-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা৷

সূত্রের খবর,আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি রাখতে হবে ১০টি ফাঁসির দড়ি৷ এমনই নির্দেশ গিয়েছে বিহারের বক্সার জেলে৷ বক্সার জেলের সুপার বিজয় কুমার অরোরা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, জেল ডিরেক্টরেটের তরফে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বক্সারের জেলে। তবে কোথায় এই দড়ি সরবরাহ করতে হবে কিংবা কোথায় এই ১০টি ফাঁসির দড়ি কাজে লাগানো হবে সে ব্যাপারে ওই নির্দেশিকায় কিছু বলা হয়নি৷

উল্লেখ্য,২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে গভীর রাতে বছর কুড়ির এক তরুণীকে চলন্ত বাসে তুলে অকথ্য নির্যাতন ও গণধর্ষণ করা হয়৷ নির্ভয়া-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ৷ ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ দেয় নিম্ন আদালত।সুপ্রিম কোর্ট সেই আদেশ বহাল রেখেছে৷ তাই অনেকে চাইছেন চলতি মাসের ১৬ তারিখেই দোষীদের ফাঁসি হউক৷ এবার সেই জল্পনা আরও উস্কে দিল ফাঁসির দড়ি চেয়ে বক্সার জেলের নির্দেশিকা৷

ফাঁসির দড়ির তৈরির জন্য বক্সারের এই জেল দীর্ঘদিন ধরেই বিখ্যাত। ২০১৬-১৭ সালে সংসদ হামলায় দোষী আফজল গুরুর ফাঁসির সময় শেষ বার এই জেল থেকেই নেওয়া হয়েছিল ফাঁসির দড়ি। দেশের যেখানেই ফাঁসির সাজা ঘোষণা হোক না কেন,ফাঁসির দড়ি যায় বক্সারের এই জেল থেকেই। এবার ১০টি ফাঁসির দড়ি তৈরির নির্দেশ গেল বিহারের বক্সার জেলে৷ অনেকেই মনে করছেন, এবার হয়তো নির্ভয়া কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির সাজা কার্যকর হবে৷

হায়দরাবাদে পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে খুন৷ তারপর নাটকীয়ভাবে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যু৷ অন্যদিকে জামিন পেয়েই উন্নাওয়ের ধর্ষিতাকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় দেশ৷ ফলে খুব তাড়াতাড়ি নির্ভয়া-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি কার্যকর হবে বলে আশা অনেকের৷

প্রসঙ্গত,২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে গভীর রাতে বছর কুড়ির এক তরুণীকে চলন্ত বাসে তুলে অকথ্য নির্যাতন ও গণধর্ষণ করা হয়। ওই ঘটনা নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র আলোড়ন পড়ে যায়। প্রতিবাদ চলতে থাকে। ঘটনায় ৫ অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ দেয় নিম্ন আদালত। তার মধ্যে রাম সিংহ নামে এক অভিযুক্ত জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে।

অন্যদিকে এক দোষী অভিযুক্ত অপরাধের সময় নাবালক হওয়ায় সর্বোচ্চ তিন বছর জেল খাটার পর ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন৷ বাকিদের সাজা বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত৷ দোষীদের মধ্যে এক জন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেছে। তা নিয়ে অবশ্য রাষ্ট্রপতি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.