নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে ভিতর গুলি চলেছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। ঘটনাস্থলের কাছেই বাংলাদেশি ক্রিকেট দলের সদস্যরা ছিলেন। তাঁরা অবশ্য নিরাপদে আছেন।
মধ্য ক্রাইস্টচার্চের সাউথ আইল্যান্ড শহরের আল নুর মসজিদের ভিতরেই প্রথম গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। পুলিশের অনুমান সম্ভবত বন্দুকবাজদের মধ্যে একজন অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। তবে ঠিক কতজন বন্দুকবাজ এই হামলার সঙ্গে যুক্ত তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও সক্রিয় রয়েছে এক বন্দুকবাজ। সন্দেহভাজন হিসেবে ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের খুব কাছেই ক্যাথিড্রাল স্কোয়ারে কয়েক হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরী পরিবেশ রক্ষার দাবিতে একটি সভায় জমায়েত হয়েছিল। তাদের দ্রুত নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আল নুর মসজিদের কাছেই রয়েছে লিনউড মসজিদ। সেখানে শ’তিনেক মানুষ প্রার্থনা করছিলেন। জানা গিয়েছে, সেখানেও গুলি চলেছে।
ক্রাইস্টচার্চের ডিনস অ্যাভিনিউয়ে আল নুর মসজিদে ঢুকে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০মিনিট নাগাদ কেউ বা কারা গুলি চালাতে শুরু করে। ওই মসজিদে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা প্রার্থনা করতে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান তামিম জানিয়েছেন, মসজিদে ঢোকার আগেই তাঁরা শুনতে পান বিকট শব্দ। মুহূর্তে বুঝতে পারেন গুলি চলছে মসজিদের ভিতর। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, আপাতত ক্রাইস্টাচার্চে টেস্ট সিরিজ খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে। এলাকার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন শব্দ শুনে তাদের মনে হয়েছে মসজিদের ভিতর অন্তত একশোটি গুলি চলেছে। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আততায়ীকে ধরা যায়নি। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন।