প্যালেস্টাইনের সমর্থনে মিছিল করা নিয়ে লন্ডন পুলিশকে কটাক্ষ করেছিলেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। প্রথমে তাঁর পাশে দাঁড়ালেও পরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই মন্ত্রীকে সরিয়ে দিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। সুয়েলার জায়গায় ওই পদে নিয়ে আসা হয়েছে জেমস ক্লেভারলিকে।
লন্ডন পুলিশের বিরুদ্ধে প্যালেস্টাইন সমর্থকদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন সুয়েলা। একটি প্রতিবেদনে সে কথা লিখেছিলেন। প্রথমে সুনক তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, সুয়েলার উপর ‘পূর্ণ আস্থা রয়েছে’ সুনকের। তবে তিনি তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন করেন না। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সুয়েলাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে মন্ত্রিসভায় কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব মানেননি সুয়েলা।
ষাটের দশকে ব্রিটেনে এসেছিলেন সুয়েলার মা এবং বাবা। দু’জনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এর আগেও এক বার মাঝপথেই মন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন সুয়েলা। ২০২২ সালে লিজ ট্রাসের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ছিলেন সুয়েলা। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত মেল আইডি থেকে সরকারি একটি মেল পাঠিয়ে মন্ত্রিত্বের প্রোটোকল ভেঙেছিলেন। তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন সুয়েলা। এর পর সুনক যখন প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন, তখন ছ’সপ্তাহ পর ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে বসেন সুয়েলা।
গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার প্রতিবাদে লন্ডনের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছিল। গত বুধবার ব্রিটেনের একটি দৈনিকে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন সুয়েলা। অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিবাদীদের প্রতি নরম মনোভাব দেখিয়েছে পুলিশ। তিনি লেখেন, ‘‘আমি মনে করি না, শুধু গাজ়ার জন্য সাহায্য চেয়ে এ ধরনের মিছিল হয়েছে। এগুলো আসলে কিছু গোষ্ঠীর দাবিদাওয়া, বিশেষত ইসলামিকদের, যা উত্তর আয়ারল্যান্ডে দেখা যেত।’’ এই প্রতিবেদনের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন সুয়েলা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচিত হন সুনকও। মন করা হচ্ছে, তার পরেই এই সিদ্ধান্ত।