পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকারটুকু নেই

ভারত এবং পাকিস্তান একদিনের ব্যবধানে স্বাধীন হলেও পার্থক্য অনেক। পাকিস্তান একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও সেখানে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আর সেনা প্রধান সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। দারিদ্র্য, অশিক্ষা, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ সহ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত মৃতপ্রায় দেশটিকে টেনে তুলতে প্রত্যেক নির্বাচিত সরকারকেই হিমশিম খেতে হয়। ২২ গজে দাপট দেখানাে ১৯৯৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ইমরান খান রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইসলাম বানিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্বের শিরােপা লাভ করেন। ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্লোগানে তার ‘মিশন পাকিস্তান’ হলেও বাস্তবে কঠিন সমস্যার মুখে। একদিকে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি, পরােক্ষ সামরিক শাসন, তারমধ্যে ঘাের অর্থনৈতিক সমস্যা। বিশ্বাস লাদেনকে আশ্রয় ও মদত দিয়েছিল পাকিস্তান, আর্মি ক্যাম্পের কয়েক ক্রোশ দরে লাদেনকে আবিষ্কার করা হয়েছিল। মাসুদ আজহার, হাফিজ সাইদদের মুক্ত বিচরণ ভূমি পাকিস্তান। পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনের নাম করে পরােক্ষভাবে জঙ্গিদের মদত দিয়ে চলেছে। তাই ডােনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ৩০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২১০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের অনুদান রদ করে নবনির্বাচিত ইমরান সরকারকে জোর ধাক্কা দেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্বীকার করেছে দেশটির প্রায় ৯৩টি মাদ্রাসায় জঙ্গি যােগ রয়েছে। তাই অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেজিং, সৌদি, দুবাইয়ে ঝুলি নিয়ে ঘুরছেন। সম্প্রতি সৌদির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মােহম্মদ বিন সলমনের দাবি পাকিস্তানিরা নাকি ধর্মান্তরিত ক্রীতদাস মুসলিম।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্রাটেজিক ফোরসাইট গ্রুপের এক রিপাের্ট অনুসারে মানবতার পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ পাকিস্তান। কুখ্যাত আইসিসের আঁতুরঘর সিরিয়ার চাইতেও নাকি তিনগুণ ধর্মীয়। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় কচি মনে বপন করা হচ্ছে ঘৃণার বীজ। সীমান্তের ওপ্রান্তে প্রতিনিয়তই ঘটছে সংখ্যালঘুদের প্রকাশ্যে ধর্ম পরিবর্তন, নাবালিকা অপহরণ, ধর্ষণ, খুন সহ অনেক কিছু। প্রত্যেকটি ঘটনা আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরােনামে না এলেও কয়েকটি ঘটনা খুবই পীড়াদায়ক। সম্প্রতি ‘আসিয়া বিবি’ যার প্রকৃত নাম আসিয়া নাসরিন অসহায় এক পাকিস্থানি ক্রিস্টান মহিলা। ধর্মের ছোঁয়াচে রােগে মৌলবাদীদের রক্তচক্ষু। দেশটির নিম্ন আদালত আসিয়া বিবির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী করলেও সঠিক তথ্য প্রমাণের অভাবে সুপ্রিম কোর্ট আসিয়াকে নির্দোষ সাব্যস্ত করে। মূল ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালে। আসিয়া বিবি এবং তার প্রতিবেশীরা গাছ থেকে ফল পাড়ছিলেন। তখন এক বালতি জল নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। আসিয়া একটি কাপে করে ওই বালতির জল খেয়েছিলেন। যেহেতু তিনি অমুসলিম, তাই ওই জল তিনি স্পর্শ করতে পারেন না। এমনটাই প্রতিবেশীদের অভিযােগ। কারণ ওই জল নাকি অপবিত্র হয়ে গেছে। তাই বাদীপক্ষ আসিয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হওয়ার নিদান দেয়, এমনকী তাকে বাড়িতে গিয়েও মারধর করা হয়। আসিয়ার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযােগ তিনি নাকি ইসলামের নবি হজরত মুহাম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। কিন্তু আসিয়া বিবি বারবার তা অস্বীকার করেছেন এবং সুপ্রিম কোর্টে তা প্রমাণিতও হয়েছে।

কিন্তু পাকিস্তানি উগ্র মৌলবাদী শক্তি সুপ্রিমকোর্টের রায়ে মােটেই খুশি নয়। ইমরান খান প্রথমে রক্তচক্ষু দেখালেও এখন নতমস্তক। বাধ্য হয়ে দেশে হিংসা, বিক্ষোভ বন্ধ রাখতে উগ্র ইসলামপন্থী সংগঠন তাহরিক-ই-লাবাইকের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারকে এক সন্ধি স্থাপন করতে হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে আসিয়া বিবিকে কোনভাবেই দেশের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, আসিয়া বিবি ভুয়াে ব্লাসফেমি আইনে এমনিতেই গত দশ বছর ধরে জেলে বন্দি। ছােট্ট মেয়ে মাকে না দেখতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এখন তার সম্পূর্ণ পরিবার প্রাণসংকটে। তাঁর স্বামী ব্রিটেন, আমেরিকা, কানাডা, জার্মান সহ একাধিক দেশে সপরিবারে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। দেশগুলিও যথেষ্ট সাড়া দিয়েছিল কিন্তু ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সঙ্গে সরকারের নতুন চুক্তিতে প্রত্যাবর্তন ব্যবস্থাও সম্ভবপর হয়ে উঠছে না। পাকিস্তানের মােট জনসংখ্যার ১.৬ শতাংশ খ্রিস্টান। ১৯৯০ সাল থেকে এই ব্লাসফেমির অভিযােগে খ্রিস্টান সহ মােট ৬৫ জনকে পাকিস্তানে হত্যা করা হয়। কোনও বিশেষ ধর্মের বিষয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করাকে ‘ব্লাসফেমি’ বা ধর্ম অবমাননাকর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। কোনও কোনও দেশে ‘এপােস্ট্যাসি’কে ব্লাসফেমির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। এপােস্ট্যাসির মাধ্যমে বিশেষ কোনও ধর্মকে অস্বীকার করা বা স্বধর্ম ত্যাগ করাকে বােঝানাে হয়।

ব্লাসফেমি আইন শুধু ইসলামিক দেশে কার্যকরী নয়, বরং ইউরােপের অনেক দেশে আইনটির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। ব্লাসফেমি আইনে ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অনুরূপ আচরণকে চরম অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’-এর এক রিপাের্ট অনুসারে বিশ্বের ৭১টি দেশে এই কুখ্যাত ব্লাসফেমি আইন কার্যকরী আছে। তবে বিশেষত ইসলামিক দেশগুলােতে ব্লাসফেমি আইনের অনুশীলন হওয়ায় প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। পাকিস্তান ছাড়াও ইরান, সৌদিআরব, এবং মৌরতানিয়ার ব্লাসফেমি আইনে অনেক মৃত্যুদণ্ড কার্যকরী হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে দেখা যায় প্রতিহিংসা মেটাতে এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত প্রমাণ করতে এই ‘ব্লাসফেমি’ আইনকে হাতিয়ার বানানাে হয়। পাকিস্তানভিত্তিক এক মানবাধিকার সংস্থা আমেনস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলে পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের ভুক্তভােগীরা অধিকাংশই অমুসলিম। তারা ভুয়াে ঘটনার শিকার। ইউরােপের দেশগুলি অনেক মুক্তমনা, সুশিক্ষিত হলেও এই ব্লাসফেমি আইনের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি। নীচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলাে :

*ডেনমার্ক—কোরান পােড়ানাের একটি ভিডিয়াে সামাজিক মাধ্যমে পােস্ট করার অপরাধে ২০১৭ সালে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্লাসফেমি আইনে অভিযােগ আনা হয়।

*জার্মান—“কোরান, পবিত্র কোরান’ লেখা টয়লেট পেপার বিলি করায় ২০০৬ সালে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযােগ আনা হয়।

*ফিনল্যান্ড—ইসলাম বিষয়ে একটি ব্লগ পােস্টে অবমাননাকর মন্তব্য করায় ২০০৯ সালে এক ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়।

*জার্মানি—গাড়িতে ক্রিস্টান বিরােধী স্টিকার লাগানাের দায়ে ২০১৬ সালে এক ব্যক্তিকে ৫০০ ইউরাে জরিমানা করা হয়।

আয়ারল্যান্ড—টিভি অনুষ্ঠানের ব্রিটিশ কমেডিয়ান স্টিফেন ফ্রাইয়ের এক মন্তব্যের কারণে অভিযােগ আনা হলে তদন্ত চলে তার উপর।

অত্যন্ত আনন্দের বিষয়—আইসল্যান্ড, নরওয়ে, মানটাও সম্প্রতি এই কুখ্যাত ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে। আরেকটি ইউরােপীয় দেশ আয়ারল্যান্ড গণভােটে ব্লাসফেমিকে আইনের পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দিয়েছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশে একটি কট্টর ইসলামিক সংগঠন ২০১৩-র ঢাকায় একটি বিশাল সম্মেলনে ১৩ দফার দাবিতে ‘ব্লাসফেমি আইন’ কার্যকরী করার দাবিকে প্রধান হিসাবে রাখা হয়। দেশটিতে ব্লাসফেমি কার্যকরী না থাকলেও ইসলামের অবমাননার অভিযােগে কট্টরপন্থীরা প্রকাশ্যে অনেক নাস্তিক, ব্লগার, কলামিস্টদের প্রকাশ্যে রাস্তায় জবাই করেছে; যার মধ্যে একটিরও সুবিচার হয়নি। রাজন দাস, টিটু রায়দের কীভাবে ভুয়াে ধর্ম অবমাননার দায়ে ফাঁসানাে হয়েছিল বিশ্ববাসী আজও সাক্ষী। বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তথাকথিত এই ধর্ম অবমাননার দায়ে দেশান্তরী। মালালা ইউসুফের জন্য পাকিস্তানের উগ্রবাদ একবার সবার নজরে এসেছিল, আজ আসিয়া বিবির কল্যাণে বিষাক্ত ব্লাসফেমি আইনকে সবাই জানতে পারছে। ধর্ম অবমাননার দায়ে শুধু অভিযুক্তের প্রাণ সংশয়ে থাকে না, বরং তাদের শুভকাঙ্ক্ষীরাও কট্টরবাদীদের চোখে অপরাধী।

আসিয়া বিবির আইনজীবী প্রাণভয়ে অনেক আগেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আসিয়া বিবিকে নৈতিক সমর্থন করায় পঞ্জাবের গভর্নর সালমান আসিরকে হত্যা করা হয়। তার ঘাতক মুমতাজ কাদিরকে ফুল বর্ষণ করে আদালত প্রাঙ্গণে বীরের সম্মান যারা দেয় তাদের অধিকাংশই শিক্ষিত আইনজীবী। একইভাবে অতীতে ধর্মান্ধতায় এক খুনির হয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ। তখন ইসলাম নিয়ে ধর্মীয় বই রঙ্গিলা রসুল প্রকাশ করার অপরাধে প্রকাশক রাজপাল খান্নাকে খুন করা হয়েছিলাে। ‘ব্লাসফেমি’ বা ‘ঈশ্বর নিন্দা’ আইন এমন জঘন্য যে আপনি ‘মােহম্মদ’ নামের কোন ব্যক্তিকে গালি দিলেও আপনি এই ব্লাসফেমি আইনের আওতায় এসে যাবেন। পাকিস্তানের সংবিধানে ইসলামে বিশ্বাস রেখে শপথ নিতে হয়। পাকিস্তানের তৎকালীন প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জায়েদ হামিদ এই শপথ গ্রহণে সামান্য সংশােধনী চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশের মােল্লা, মুয়াজ্জিন, আলিম ব্রিগেড প্রতিবাদে পুরাে দেশকে স্তব্ধ করে দেয়। অবশেষে শ্রমমন্ত্রী ক্ষমা চেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন।

ব্লাসফেমি আইনের স্বরূপ গবেষণা করে সহজে পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের করুণ অবস্থার অনুমান করা যায়। পাকিস্তানের মহান সংসদে দাঁড়িয়ে একজন হিন্দু সাংসদ লাল চন্দ মালহী আক্ষেপের সুরে বলেন তারই কিছু মুসলিম বন্ধ সাংসদ তাকে ‘গােরুর পূজারি’, ‘হিন্দু-হিন্দু’ বলে বিদ্রুপ করেন। মায়ানমার, সিরিয়া, ফিলিস্তিনিতে অমানবিক কিছু ঘটলে সারা পৃথিবীর মানবাধিকার সংস্থা জেগে উঠে, আক্ষেপ হয় এই পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের জন্য। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু যুবতীদের প্রথমে অপহরণ করা হয়, তারপর বিয়ে এবং ধর্মান্তরকরণ। ১৬ বছরের রবিতা মেঘারকে প্রথমে অপহরণ করা হয়, তারপর জোরজবরদস্তি ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করে নাম দেওয়া হয় গুলনাজ শাহ। এরকম ঘটনা প্রতিদিন পাকিস্তানে ঘটছে। রিঙ্কল কুমারী নামের এক হিন্দু যুবতীকে ২০১২ সালে ধর্মান্তরিত করার পর মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। বি জে পি সরকার পাকিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘুদের কয়েক দফায় দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা প্রদান করে। কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে এরকম শরণার্থীদের অনেক সময় এতাে তাড়াতাড়ি ভিসা দেওয়া সম্ভবপর হয়ে ওঠে না। তাই বছরখানেক আগে প্রায় ৫০০ জন হিন্দু শরণার্থীকে পাকিস্তান ফেরাতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাদের কপালে দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করছিল, তাদের ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়। এদের মধ্যে ৮০ বছরের বৃদ্ধ চন্দু সাংবাদিকদের বলেন এখন আর তাদের মেয়েকে ধর্ষিতা হতে হবে না, বিনামূল্যে তারা পাবে এক বছর চাষের জল, মেয়ের বিয়ের সামগ্রী, সেলাই মেশিন প্রভৃতি। অযােধ্যায় এক বাবরি ধাঁচা ভাঙার মাশুল পাকিস্তানের কটি মন্দির দিয়ে গুনতে হয়েছিল শুধু সেখানকার হিন্দুরাই জানে। প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা ব্রিটিশদের কাছ থেকে ভৌগােলিক স্বাধীনতা হয়তাে পেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু বাঁচার অধিকার পায়নি। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর প্রতিনিয়ত নিপীড়ন সুস্পষ্টভাবে একথাই প্রমাণ করছে।

রঞ্জন কুমার দে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.