ধর্ষণের খবর প্রকাশ করা যাবে না : আজব সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের

হাথরস গণধর্ষণ (Hathras Gangrape) কাণ্ড প্রসঙ্গে যখন গোটা ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলি সরগরম। ‌ ঠিক সেই সময় পাকিস্তানের সংবাদসংস্থাগুলি (Pakistan Media) হঠাৎ করেই একটি নির্দেশনামা জারি করেছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দেশের মধ্যে ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্তার কোনও খবর বা নির্যাতিতদের সংবাদ মাধ্যমে তারা প্রকাশ্যে আনা হবে না। গত মাসেই পাকিস্তানের পঞ্জবে ঘটে যায় একটি নারকীয় গণধর্ষণ কাণ্ড। সেই ঘটনার সূত্র ধরেই লাহোরের এন্টি টেরোরিজম (Lahore Anti Terrorism) আদালত নির্দেশ জারি করে এরপর থেকে দেশের যে, কোনও সংবাদ সংস্থা এই ধরনের কোনও খবর প্রকাশ্যে আনবে না। এ প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাইলকত মোটরওয়েতে ঘটে যাওয়া নারকীয় গণধর্ষণকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই আদালত এই নির্দেশ জারি করেছে।
তদন্তকারী অফিসার জুলফিকার চিমা পাক এন্টি টেরোরিজম আদালতের কাছে এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে একটি অ্যাপ্লিকেশন জমা দেন, এবং তাতে তিনি বলেন, “পাক সংবাদ সংস্থাগুলির এরপর থেকে এই ধরনের যে কোনও ঘটনা খবর সামনে আনবেন না। কারণ এই ধরনের ঘটনা সামনে এলেই সমাজের ওপর তার গুরুতর প্রভাব পরবে।” তিনি আরও বলেন, “সংবাদ সংস্থাগুলির এই ধরনের খবর কভারেজের ফলে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।”

তার এই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে প্রিজাইডিং জাজ আরশাদ হোসেন ভুট্টা বলেছেন, “সংবাদমাধ্যমের এই ধরনের খবর কভারেজের ফলে শুধুমাত্র যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাই নয়, এর ফলে নির্যাতিতা এবং তার পরিবারকেও নানা অসম্মানজনক ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, গত মাসের সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে একজন পাকিস্তানী মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয় তারই সন্তানের সামনে। লাহোর সাইলকত মোটরওয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই তার গাড়ির পেট্রোল ফুরিয়ে যায়, এবং সেই সুযোগেই তাকে নির্যাতন করা হয়। তবে এই ঘটনা শুধুমাত্র নির্যাতনেই থেমে থাকেনি অভিযুক্তরা এরপর ওই মহিলার কাছ থেকে তার পার্স সহ নানা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনা যখনই জাতীয় সংবাদ সংস্থার সামনে আসে তখনই তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এই ঘটনার জন্য নির্যাতিত মহিলাকেই দায়ী করেন। এরপর মানবাধিকার প্যানেলের সামনে তিনি বলেন নির্যাতিতা তার স্বামীর নির্দেশ ছাড়াই ওই সময় বাড়ির বাইরে একা পা রেখেছিল আর ঠিক সেই কারণেই তার সাথে এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর পাকিস্তানি নির্যাতিতা মহিলাটি পুলিশের কাছে তার জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.