বর্তমান ভারতের অন্যতম বড় সমস্যা হলো বিদেশী আগ্রাসন‚ বিশেষত সাম্রাজ্যবাদী চীনের আগ্রাসন। আর এই আগ্রাসন যে শুধু সীমান্তে সেনাবাহিনীর সাহায্যে ঘটছে তা নয়‚ অনবরত ঘটে চলেছে বানিজ্যিক-বৌদ্ধিক-অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন দিক থেকে। যার নমুনা স্পষ্ট দেখতে পাই বিভিন্ন প্রথম শ্রেণীর সংবাদপত্রের অপ-এডে ক্রমাগত চীনা এম্ব্যাসির প্রোপাগান্ডামূলক লেখা ছাপা হওয়া।

অপ এড অর্থাৎ কিনা অপোজিট দ্যা এডিটোরিয়াল বা সম্পাদকীর বিপরীতে। আপনারা নিশ্চয়ই সবাই সংবাদপত্রে সম্পাদকীয় কলাম দেখেছেন। সেখানে সম্পাদক বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেন। আর সেখানেই আরেকটি কলাম থাকে‚ অপ এড। যেখানে বিভিন্ন লেখক বা নানা ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয় তাদের নিজস্ব মতামত  প্রকাশ করার জন্য। লেখক সেখানে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পায়। এই অপ এড হতে পারে সম্পাদকীয়র বিপক্ষে আবার পক্ষেও হতে পারে।

আপনারা নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে ইদানীং চীনা আধিকারিকদের লেখা প্রচুর অপ এড বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশ পাচ্ছে। যা কিন্তু আমাদের জন্যে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার বিষয়।

এখানে  দুটো বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করা করা বাঞ্ছনীয়।

১- চীন সরকারের বিজ্ঞাপন ভারতীয় সংবাদপত্রে ছাপা হচ্ছে

২- ভারতীয় বহু সংবাদপত্রে চীনা আধিকারিকদের লেখা অপ এড প্রকাশিত হচ্ছে

প্রথমে আসা যাক দ্বিতীয় বিষয়ে‚ অর্থাৎ অপ এড বিষয়ে। এক্ষেত্রে বলে রাখা উচিৎ যে‚ বিদেশী দূতাবাসের থেকে অপ এড লেখা কিন্তু মোটেও অস্বাভাবিক কোনো বিষয়না। বরং অত্যন্ত সাধারণ একটি বিষয়। যেমন উদাহরণ দেওয়া যায় আমেরিকা বা জাপান বা ইজরায়েলের ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা সেসব দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে অপএড লিখেই থাকেন। আবার অন্যান্য দেশের দূতাবাস থেকেও ভারতের সংবাদপত্রে লেখা হয়।  এর ফলে নির্দিষ্ট কোনো ঘটনা বা কোনো বিষয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দেশটির‚ অর্থাৎ দূতাবাসটি যে দেশের‚ সেই দেশের ধ্যান ধারণা সম্পর্কে সংবাদ পত্রের দেশটির সাধারণ মানুষ জানতে পারে। এছাড়া দূতাবাসের আধিকারিকও কোনো বিষয়ে তার নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে পারে।

তাহলে চীনের আধিকারিকদের লেখা অপ এড নিয়ে দুশ্চিন্তা কিসের? দুশ্চিন্তা আছেআর তা আছে মূলত পাঁচটি কারণে –

 প্রথমত তাদের অত্যন্ত বেশিবার অপ এড লেখা। এত কম সময়ের মধ্যে এতগুলো অপ এড কখনোই স্বাভাবিক বিষয় নয়। শেষ দুই মাসে‚ অর্থাৎ করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর‚ ২৯ শে ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ই মার্চ পর্যন্ত ভারতে চীনা আধিকারিকরা কমপক্ষে ৬ টা অপ এড লিখেছে। আর আগেই যেমন বলা হয়েছে এগুলো সবই প্রথম সারির বিখ্যাত বিখ্যাত সংবাদপত্র। আর বিখ্যাত নয়‚ চট করে মানুষের সামনে আসবেনা এমন কটা আঞ্চলিক সংবাদপত্রে যে কটা অপ এড বেরিয়েছে তা শুধু চীনা দূতাবাসই জানে

তাদের লেখা অপ এড গুলি নিম্নরূপ

২৯ শে ফেব্রুয়ারী এসেনশিয়াল টাইমসে ছাপা হয় “The Open road to development” !

১৩ই মার্চ ছাপা হয় The Hindu তে “Fighting COVID-19 together for a shared future

 ২রা এপ্রিল টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে বেরোয় “

A seven decade’s  journey‚ creating anew course for the dragon elephant tango.

এরপর ৬ই এপ্রিল “ফ্রি প্রেস জার্নালে” লেখা হচ্ছে “India and China can show the way in fighting the virus.”

পরবর্তীতে ১ লা মার্চ হিন্দুস্তান টাইমসের আর্টিকেল – “Virus don’t respect borders. Come together.”

আর ৮ই মার্চ “ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে” বেরোচ্ছে “COVID -19 has triggered a new wave of China-bashing.

এই সমস্ত আর্টিকেলে বারবার এটাই জানানো হচ্ছে যে চীন (China) কিভাবে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ে সফল হয়েছে। কমিউনিস্ট চীনের গৃহীত নীতি পদ্ধতি সারা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ! আরও বলা হয়েছে যে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ চীনের বিরুদ্ধে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার যে ইচ্ছাকৃত অভিযোগ এনেছে তা সর্বাংশে মিথ্যে।

 এই ভাইরাস ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খল‚ বিপর্যস্ত পৃথিবীকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার অভিযোগ চীনের বিরুদ্ধে উঠছে পৃথিবীজুড়ে। ভারতের নাগরিকদেরও বৃহত্তর অংশের অভিযোগ চীনেরই বিরুদ্ধে। চীনা পণ্য বর্জন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ। সেই প্রসঙ্গে এই আর্টিকেল গুলোর গুরুত্ব কিন্তু মোটেও কম না।

ভেবে দেখুন এই সংবাদপত্রগুলো ভারতের কত অসংখ্য পরিবারের কত অসংখ্য মানুষের হাতে পৌঁছায়। মোটাদাগে চীনের প্রশংসামূলক এইসব আর্টিকেল পড়ে তাদের মনে চীনপন্থী মানসিকতা তৈরী হওয়া কিন্তু কখনোই বিচিত্র কিছুনা। এমনিতেই বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দলের কারণে ভারতের ভেতর চীনের এজেন্ট নেহাতই কম পরিমানে নেই। নির্লজ্জভাবে “চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান” স্লোগানও উঠতে দেখা গেছে এই দেশে।

চীনের জাতীয় নেতা মাওসেতুং এর অনুগামীরা (মাওবাদী ) এখনো অস্ত্র হাতে মাঝেমধ্যেই সাধারণ ভারতবাসীকে হত্যা করে চলেছে। সেই পরিপেক্ষিতে এই আর্টিকেল গুলো কিন্তু আমাদের কাছে যথেষ্ট সচেতনতার দাবি রাখে।

দ্বিতীয় যে বিষয়টি আমাদের সামনে চলে আসে তা হলো এইসব অপ এড গুলো লেখার ধরণ। যা কখনোই আর বাকি পাঁচটা দেশের অপ এডের মত হয়না। এখানে ক্রমাগত চীনের পক্ষেই প্রচার তো চলেই‚ এছাড়া তাদের ভারতীয় পার্টনারদের বিরুদ্ধে নাম তুলে বা ভারতের জন্য সংবেদনশীল ইস্যুতে ভারতকে আক্রমণ করতেও ছাড়া হয়না এইসব আর্টিকেলে। কয়েকমাস আগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন অরুণাচল প্রদেশে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে যান‚ তখন চীনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে “এই প্রদেশ আপনাদের না। আপনি এখানে আসতে পারেন না‚ কারণ এটি দক্ষিন তিব্বতের অংশ” ! এইভাবে ওরা সামান্যতম সুযোগেই ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে কখনোই ছাড়েনা। যদিও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির প্রতি সম্মান রেখে ভারত এমন কখনোই করেনি।

এইসব আর্টিকেল নিয়ে আপত্তির তৃতীয় কারণ হলো এর পক্ষপাতিত্ব! আগেই বলেছি সমস্ত বিষয়েই‚ এমনকি ভারত ও চীনের মধ্যে বিতর্কিত বিষয়েও এরা ভারতে বসেই নির্লজ্জভাবে চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে যায়। এছাড়াও প্রতিটি ক্ষেত্রে এইসব আর্টিকেলে চীনের সাফল্য ও প্রেসিডেন্ট জিনপিং এর মহত্বের কথা তুলে ধরা হয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষ আমেরিকার বিরুদ্ধে লেখালেখির জন্যও তারা ভারতের সংবাদপত্র ব্যবহার করছে। আরও যেটা ভয়ঙ্কর যে‚ এইসব লেখাগুলোর কোনো সমালোচনামূলক বা বিরোধী লেখা সংবাদপত্র গুলো ছাপায়না। যেখানে কিনা সম্পাদকীয় বা অপ এডের বিরোধিতা করে পাঠকদের বা অন্যান্য লেখকের লেখা ছাপানো অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়। ভারতের মিডিয়াতে চীনের প্রভাব ও চীনের অর্থের কাছে তাদের মাথা বিকিয়ে দেওয়া কতদূর পর্যন্ত এগিয়ে গেছে তা বুঝতে আমাদের কখনোই সমস্যা হওয়ার কথা না।

চতুর্থ কারণ হলো এই বিষয়ে পারষ্পরিকতার অভাব। ভারত যেমন স্বাভাবিক ভদ্রতা মেনে চীনা আধিকারিকদের যেকোনো অপ এড লেখার স্বাধীনতা দেয়‚ চীনে অবস্থানরত ভারতীয় আধিকারিকরা কিন্তু কখনোই সেই সুবিধা পায়না। ভারতের কোনো আধিকারিক যদি কাশ্মীর নিয়ে চীনের সংবাদপত্রে লিখতে চান তবে সেটা কখনোই সম্ভব হবেনা। কিন্তু চীনের আধিকারিকরা ভারতের সংবাদপত্রে তিব্বত নিয়ে হামেশাই লেখালেখি করেন। একইভাবে ভারতের রাষ্ট্রদূত চীনের সংবাদপত্রে পাকিস্তানের সম্পর্কে লিখতে পারেন না‚ কিন্তু চীন ভারতের সংবাদপত্র ব্যবহার করেই থাকে আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রচার চালানোর জন্য।

আর পঞ্চমত‚ এই সব আর্টিকেলগুলির আসল চেহারা সবার থেকে আড়াল করে রাখা হয়। আমরা কমপক্ষে দুবার এমন দেখেছি যেখানে চীনা রাষ্ট্রদূত বলছে এইগুলো তার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু আমরা খুব ভালো করেই জানি যে আর পাঁচটা একনায়কতান্ত্রিক দেশের মতো স্বৈরাচারী চীনেও কোনো ব্যক্তিই তার ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারেনা‚ আর দূতাবাসের আধিকারিকরা তো অবশ্যই না। প্রতিটি ক্ষেত্রে চীন সরকারের তৈরী করে দেওয়া অ্যাজেন্ডাই তাদের পালন করতে হয়।

এবার আসা যাক একেবারে প্রথমে বলা বিষয়টিতে। বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন হলো সংবাদপত্র গুলোর জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। প্রধানত এর দ্বারাই তাদের বেশিরভাগ খরচ খরচা ওঠে। কিন্তু চীনা দূতাবাসের তরফ থেকে দেওয়া লেখাগুলো  আর্টিকেল  নাকি বিজ্ঞাপন তা কখনোই  সঠিকভাবে বলা থাকেনা। ফলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। এখন চীন আধিকারিকদের এই লেখাগুলো যদি বিজ্ঞাপন হয় তবে অবশ্যই কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে একে প্রোমোট করছে। আর যদি আর্টিকেল হয় তবে নিশ্চিতরূপেই তা প্রোপাগান্ডা। এছাড়াও যদিও কখনোবা বিজ্ঞাপনের কথা লেখাও থাকে তবে তা এত ছোট করে লেখা থাকবে যে সাধারণ মানুষ যাতে সহজে বুঝতে না পারে।

যেমন এই বিজ্ঞাপনটার কথা দেখা যাক। পয়লা এপ্রিলে দ্যা হিন্দু সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞানেটি ছাপা হয় ভারত-চীন সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে। আস্ত একটি পৃষ্ঠাকে সাজানো হয় ভারত চীন সম্পর্ককে উদযাপন করার জন্য।  কিন্তু সেখানে কোথাও বলা ছিলোনা যে এটা একটি বিজ্ঞাপন‚ যেটা চীনা PRC অর্থাৎ পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না  দ্যা হিন্দুকে দিয়েছিলো ছাপানোর জন্য। উল্টে চীন দূতাবাস একটি নিউজ লেটার বের করে জানায় যে এটা একটি মিডিয়া পাবলিশিং ভিউজ ছিলো। ( অর্থাৎ তাদের দেওয়া বিজ্ঞাপন নয়)। নীচের ছবিটা দেখুন। চীনা দূতাবাস থেকে প্রকাশিত সেই নিউজ লেটারে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে Indian media publishes special page on the 70th anniversary of the establishment of diplomatic relationship between China and India.

বিজ্ঞাপন দেওয়া অন্যায় নেয়। যে কেউ যে কোনো বিষয়ের উপর যত ইচ্ছা বিজ্ঞাপন দিতেই পারে। কিন্তু তা নিয়ে যদি কেউ অযথা মিথ্যাচার করে তবে তার আসল উদ্দেশ্য কিন্তু যথেষ্টই সন্দেহের দাবি রাখে।  তাও আবার যেমন তেমন মিথ্যাচার নয়‚ রীতিমতো প্রতিবেশী শক্তিশালী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের করা মিথ্যাচার

আমরা খুব ভালো করেই জানি ভারতের আভ্যন্তরীণ ও সীমান্তের নিরাপত্তার জন্যে চীন ঠিক কতটা মারাত্মক হুমকি বিশেষ। ইতিমধ্যেই চীনের সাথে আমাদের একটি ঘোষিত যুদ্ধ ও অসংখ্য অঘোষিত সীমান্ত সংঘর্ষ ঘটে গেছে। আমাদের উত্তর ও উত্তর পূর্বের এক বিশাল অংশকে চীন দখল করে রেখেছে আমাদের তদানীন্তন শাসকদের অপদার্থতার কারণে। আদর্শগত ভাবে চীন আর ভারত স্বাভাবিক শত্রু। চীনের শাসন ব্যবস্থা একনায়কতান্ত্রিক। আর ভারতে গনতান্ত্রিক। কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়া চীনে আর কোনো রাজনৈতিক দল ভিন্নমত নেই। কিন্তু ভারতে প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে ও নিজেদের পছন্দের রাজনৈতিক দল বাছতে পারে। ভারতের অনুকরণে চীনে যদি গনতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ওঠে তবে ভূতপূর্ব কমিউনিস্ট রাষ্ট্র সোভিয়েতের মতো চীনের টুকরো টুকরো ভেঙে যাওয়া স্রেফ অপেক্ষা মাত্র। তাই ভারতের প্রতি চীনেত যুগপত আক্রোশ ও ভীতি থাকাই স্বাভাবিক।

এছাড়াও দক্ষিন পূর্ব এশিয়া ও উপমহাদেশে চীনের আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রেও অন্যতম বড় বাঁধা ভারত। কোনোভাবেই যদি ভারতকে তারা তিব্বতের মতো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তবে রাতারাতি উপমহাদেশ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া চীনের একচ্ছত্র দখলে চলে আসবে। বিগত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকেই তারা এই লক্ষ্যে ক্রমাগত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে।

আমরা সকলেই জানি বর্তমান সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় “গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ” সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব ও প্রভাব ঠিক কতখানি। আর এই প্রভাবশালী ক্ষেত্রেই যখন বিদেশী আগ্রাসনের থাবা বসে তখন কিন্তু তা যথেষ্টই সুদূরপ্রসারী বিপদকে ইঙ্গিত করে। আর এই বিপদ সম্পর্কে সচেতন থাকা ও জনমত গড়ে তুলে তাকে প্রতিহত করা অবশ্যই  আমাদের জাতীয় কর্তব্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.