তৃণমূলে যোগ দিলেও খাতায় কলমে এখনও বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং। ব্যারাকপুরের সেই সাংসদকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভায় অবশ্য দলনেত্রী বলেছেন, সবাইকে টিকিট দেওয়া সম্ভব নয়, যারা টিকিট পেলেন না তাদের কথা ভাবা হবে। এবার যারা টিকিট পেলেন তাদের নিয়ে ব্রিগেডের মঞ্চে হাঁটালেন মমতা। সেই দলে ছিলেন না অর্জুন সিং। অথচ তখনও তিনি ঠায় মঞ্চে বসে। তাঁর পরিবর্তে ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। লোকসভা ভোটে প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় বেজায় ক্ষুব্ধ অর্জুন সিং। বললেন, নাম থাকবে না জানলে মঞ্চে যেতাম না।
ব্রিগেডে সভা শেষের আগেই ক্ষোভে সভা থেকে বেরিয়ে আসেন অর্জুন। এনিয়ে তিনি বলেন, আমার জন্য গোটা ব্যাপারটাই খুবই ধাক্কা লাগার মতো। বারবার আমাকে বলা হয়েছিল ব্য়ারাকপুর আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য। কিন্ত ব্যারাকপুর আমি ছাড়ব কেন? জন্মলগ্ন থেকেই আমি ব্যারাকপুরে রাজনীতি করি। ব্যারাকপুরের সঙ্গে ওতপ্রতভাবে আমি জড়িত। ব্যারাকপুর ছাড়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তার পরেও আমাকে বলা হয়েছিল। আমি ছাড়িনি। তার পরই আজ এই অপ্রত্য়াশিত ঘোষণা। যদি আগে জানতাম তাহলে অন্তত মঞ্চে যেতাম না। খারাপের বিষয় হল মঞ্চে বসিয়ে ব্যারাকপুরের প্রার্থী ঘোষণা করা হল।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন অর্জুন সিং। ব্য়ারাকপুরের সাংসদের দাবি দেড় বছর আগে তিনি যখন তৃণমূলে যোগ দেন তখন তাঁকে ব্যারাকপুরে টিকিট দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। এমনটাই দাবি অর্জুন সিংয়ের। কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তিনি তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে এসেছে বলেও জানান। সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে অর্জুন সিংকে অন্য কোনও আসনে লড়াই করতে বলেছিল দল। কিন্তু তিনি ‘প্যারাসাইটি’ হিসেবে বাঁচতে চাননি। সৌগত বা প্রসূনদার সিট থেকে কেন লডা়ই করতে যাব! নিজের আসনেও লড়াই করব। প্রার্থী যে করা হবে না তা তিনি জানতেন না। ফলে সভা শেষ হওয়ার আগেই তিনি মঞ্চ ছাড়েন।
উল্লেখ্য, একসময় তাঁকে বাদ দিয়ে দীনেশ ত্রিবেদীকে টিকিট দেওয়ায় দল ছেড়েছিলেন অর্জুন সিং। তবে ইতিমধ্যেই দলের সুপ্রিমোর পক্ষে থেকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে অর্জুন সিংয়ের কাছে। তা নিয়ে তিনি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। এমনটাই বলছেন তিনি। তবে আজকের এই ঘটনায় যে তিনি অপমানিত তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।