খসড়া ভোটার তালিকায় যেন কোনও ভাবেই ভূতুড়ে, স্থানান্তরিত বা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটার না থাকেন। সেই ভাবেই কাজ করতে হবে বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-দের। বুধবার নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (ইআরও)-দের উদ্দেশে এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কমিশনের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করছেন বিএলও-রা। কমিশন সূত্রে খবর, একেবারে নিচু স্তরে গিয়ে মূল কাজ করার দায়িত্বে রয়েছেন বিএলও-রা। তাই এনুমারেশন ফর্ম নেওয়ার সময় তাঁদের সতর্ক ভাবে কাজ করতে হবে। তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে কোনও ভাবেই যেন ‘অস্তিত্বহীন’ ভোটারদের নাম খসড়া তালিকায় না ওঠে।
বস্তুত, কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়ার একেবারে নীচের স্তরে রয়েছেন বিএলও-রা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিলি, সেই ফর্ম পুনরায় সংগ্রহ করার দায়িত্ব রয়েছে তাঁদের উপরেই। এই কাজে যাতে কোনও গলদ না থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে কমিশন। ভুল ভাবে এনুমারেশন ফর্ম জমা হলে, তার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বিএলও-দের। সূত্রের খবর, বুধবার এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাঁদের শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে।
সূত্রের খবর, এসআইআর প্রক্রিয়ার এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত কোথায় কত ফর্ম বিলি করা হয়েছে, কতটা বাকি, কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে, তা জানতে বুধবার রাতেই বিশেষ বৈঠক ডাকা হল। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সব ইআরও-দের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে থাকবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়ালও।
এখনও রাজ্যের অনেক জায়গায় এনুমারেশন ফর্ম বিলির হার ৭৫ শতাংশেরও কম। কেন কম ফর্ম বিলি হয়েছে, কোথাও সমস্যা হচ্ছে কি না, জানতে চায় কমিশন। বুধবার বিকেল ৪টে পর্যন্ত এ রাজ্যে মোট ৬ কোটি ৮৭ লক্ষ এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হয়েছে।

