দু’বিভাগে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হবে না। ২০২৭-২৯ টেস্ট বিশ্বকাপ হতে পারে ১২টি দলকে নিয়ে। সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি)। এ ছাড়া এক দিনের ক্রিকেটের সুপার লিগ শুরু করার ভাবনা রয়েছে আইসিসির। ধীরে ধীরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ৩২টি দলকে নিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে আইসিসির।
টেস্ট ক্রিকেটের মান বজায় রাখতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে দু’টি ডিভিশনে ভাগ করার প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল আইসিসির বৈঠকে। নিউ জ়িল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার রজার টুসের নেতৃত্বাধীন আইসিসির ওয়ার্কিং গ্রুপ এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে গত সপ্তাহে দুবাইয়ে হওয়া বৈঠকে। কারণ আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলি ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ় নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে। যে সিরিজ়গুলি টেস্ট বিশ্বকাপের ২০২৭-২৯ চক্রের অন্তর্ভুক্ত হবে। ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে টেস্ট বিশ্বকাপের একটি ডিভিশন এবং বাকি দেশগুলিকে নিয়ে আর একটি ডিভিশন তৈরির প্রস্তাব ছিল। দু’টি ডিভিশনের মধ্যে ‘প্রোমোশন’ এবং ‘রেলিগেশন’ রাখার কথাও হয়।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। বিরোধিতা করেছে ইংল্যান্ডও। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান রিচার্ড থম্পসন কিছু দিন আগে বলেছিলেন, ‘‘আমরা এই ধরনের ব্যবস্থা চাই না। যে ভাবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চলছে, সে ভাবেই চলুক। আমরা যদি দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যাই তা হলে অস্ট্রেলিয়া বা ভারতের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাব না। প্রথম ডিভিশনের যে কোনও দলের ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে। এ ভাবে হতে পারে না।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখনকার মতো করেই হবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং জ়িম্বাবোয়েকে নিয়ে ১২ দলের প্রতিযোগিতা হবে। কারণ আইসিসির পূর্ণ সদস্য সব দেশের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত। তাতে সব দেশই নির্দিষ্ট সংখ্যক টেস্ট খেলার সুযোগ পাবে।
এক দিনের ক্রিকেটের সুপার লিগ চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের পর এই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। এক দিনের ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। ২০২৮ সাল থেকে শুরু হবে প্রতিযোগিতা। তবে কতগুলি দেশকে নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে, তা চূড়ান্ত হয়নি। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের পর সিদ্ধান্ত হতে পারে। ২০২৮ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে ২৪টি দেশকে নিয়ে।

