বিক্ষিপ্ত অশান্তি, গন্ডগোল দিয়েই শেষ হল সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ। বসিরহাটের সন্দেশখালি, যাদবপুরের ভাঙড়-সহ জায়গায় জায়গায় অশান্তি হয়েছে শনিবার। কমিশন জানিয়েছে, গন্ডগোলের ঘটনায় দু’জন গ্রেফতার হয়েছেন। আটক করা হয়েছে সাত জনকে। সতর্কতামূলক গ্রেফতার ২১।
শেষ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সপ্তম দফায় বাংলায় মোট ন’টি আসনে ভোট হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলায় ভোট পড়েছে ৬৯.৮৯ শতাংশ। ভোটগণনা আগামী ৪ জুন, মঙ্গলবার। শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, রাজ্যে সব মিলিয়ে ১০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছে। সপ্তম দফার ভোটে ৩৫,২৯২ রাজ্য পুলিশ কাজ করেছে। ভোটগ্রহণ শেষ হলেও রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে গণনার কাজে ব্যবহার করা হবে ৯২ কোম্পানি। বাকি ৩০৮ কোম্পানি ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
কমিশন জানিয়েছে, সপ্তম দফায় মোট ২৯৮৩ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৩টি অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপি করেছে ২৬৭টি অভিযোগ। সিপিএম ৩৭৩টি অভিযোগ জমা করেছে। তিন লক্ষের কাছাকাছি সার্ভিস ভোটার রয়েছেন। ৪১৮টি গণনা কক্ষ থাকবে। গণনার গড় রাউন্ড ১৭। সর্বোচ্চ ২৩ রাউন্ড গণনা হবে। সব চেয়ে কম চোপড়ায়— ৯ রাউন্ড।
সাংবাদিক বৈঠকে সিইও জানান, শনিবার বিভিন্ন ঘটনায় ২৪ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে চার পুলিশকর্মী রয়েছেন। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেণীমাধবপুর এলাকায় ইভিএম পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেটি সংরক্ষিত ইভিএম ছিল। তার মধ্যে দু’টি ভিভিপ্যাট ছিল। তবে সেখানে ছ’টি বুথে ভোটগ্রহণ স্বাভাবিক হয়েছে। কিছু ক্ষণ আগেই সরবেড়িয়ার ৩৪ নম্বর বুথে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় তিন জন আহত হয়েছেন। এলাকায় পুলিশি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। সকালে ভাঙড়ে দু’টি রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষ হয়। ইট ছোড়া হয়েছে। আহত হয়েছে স্থানীয় পুলিশ। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাত আড়াইটা নাগাদ বসিরহাটের একটি হোটেল থেকে ৯.২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।