ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখ থেকে দেখা যাবে সূর্যের বলয়গ্রাস

আগামীকাল ১০ জুন আরও এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের পরে এবার সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে। ঠিক পূর্ণগ্রাস বা খণ্ডগ্রাস গ্রহণ নয়, এই সূর্যগ্রহণকে বলে ‘রিং অব ফায়ার’। চাঁদের ছায়া ঠিক গোল চাকতির মতো ঢেকে দেয় সূর্যকে। আর চারদিক থেকে উঁকি দেয় আলোর ছটা। দেখতে লাগে উজ্জ্বল আংটির মতো। এই অভূতপূর্ব মহাজাগতিক ঘটনা ভারত থেকে দেখা যাবে কিনা, সে নিয়ে সংশয় ছিল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, সবটা না হলেও আংশিকভাবে ভারতের শুধুমাত্র দুটি জায়গা থেকে দেখা যাবে সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ। এমপি বিড়লা তারামণ্ডলের প্রধান দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলছেন, অরুণাচল প্রদেশের কিছু এলাকা ও লাদাখ থেকে দেখা যাবে সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ। তিন থেকে চার মিনিট গ্রহণ দেখা যাবে। অরুণাচলের ডিবাং সংরক্ষণ কেন্দ্র থেকে বিকেল ৫টা ৫২ মিনিট নাগাদ আংশিকভাবে গ্রহণ দেখা যাবে। অন্যদিকে, লাদাখ থেকেও দেখা যাবে বলয়গ্রাস। তবে রিং অব ফায়ার পুরোপুরি নাও দেখা যেতে পারে। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে পরিক্রমা করে। আবার চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে নিজের উপবৃত্তাকার কক্ষে চক্কর মারে। এইভাবে যখন সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী এক সরলরেখায় চলে আসে তখন গ্রহণ হয়। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চলে আসে চাঁদ, ফলে চাঁদের ছায়া পড়ে সূর্যের ওপরে। ফলে সূর্যের আলো কিছুক্ষণের জন্য পৃথিবীতে আসতে পারে না। তখন হয় সূর্যগ্রহণ। আগামীকাল ১০ জুন রিং অব ফায়ার দেখা যাবে গ্রিনল্যান্ড, উত্তর-পূর্ব কানাডা, উত্তর মেরুর কিছু অংশ ও রাশিয়া থেকে। অন্যদিকে, ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, এশিয়াতে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ভারতের অরুণাচল ও লাদাখ থেকে কিছুটা দেখা যাবে। ২০১২ সালে আমেরিকায় রিং অব ফায়ার দেখা গিয়েছিল। এরপরে ২০১৭ সালেও বলয়গ্রাস গ্রহণের দিন রিং অব ফায়ার দেখা যায়। তবে ভারত থেকে সেই সূর্যগ্রহণ দেখা যায়নি। চিলি, আর্জেন্টিনা, জাম্বিয়া, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র থেকে দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালে ভারত থেকে দেখা গিয়েছিল বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। তবে শুধু দক্ষিণ ভারত থেকে সেই অসাধারণ মহাজাগতিক দৃশ্য দেখা গিয়েছিল, কলকাতা থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। গত বছরও হয়েছে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ, তবে বলয়গ্রাসের পথ ছিল উত্তর ভারতের উপর দিয়ে। কলকাতা-সহ ভারতের বাকি অংশে শুধুই আংশিক গ্রহণ দেখা গিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.