বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। এরপর আদালতের নির্দেশ মেনে মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয়। আর সেই মেধাতালিকা সামনে আসতেই একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে। বয়স কম দেখিয়ে ও নম্বর বাড়িয়ে চাকরি পাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
নবম -দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। বয়স ভাঁড়িয়েও চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এবার দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ২১জনকে জেরার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়েছেন, আপাতত অভিযুক্ত ২১জনকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করবে। মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারি মাসে হবে।
এমনকী গোটা প্যানেল বাতিলের হুঁঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন,…যদি দেখা যায় অধিকাংশকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকায় থাকা ৪০ পেরিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
বিচারপতির এই মন্তব্যকে ঘিরে এবার অন্য দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন বঙ্গবাসী। এদিকে ১৯২জন চাকরিপ্রার্থী দায়ের করা মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে লজ্জাজনক দিকটিতে আলোকপাত করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছিল ২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণিতে বয়স ও নম্বর বেশি দেখিয়ে ঘুরপথে চাকরি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে যায়। এরপর আদালতের নির্দেশ মেনে মেধাতালিকাও প্রকাশ করা হয়। আর সেই মেধাতালিকা সামনে আসতেই একের পর এক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে। বয়স কম দেখিয়ে ও নম্বর বাড়িয়ে চাকরি পাওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বিচারপতি বসু এদিন জানিয়ে দেন, দুর্নীতি কোথায় হয়েছে তা দেখা হবে। কিছু যোগ্য প্রার্থীর কথা বিবেচনা করবে আদালত। যদি দেখা যায় অধিকাংশকেই বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে তবে প্রয়োজনে সব নিয়োগ বাতিল করে দেব। আর এতেই কার্যত ঘুম উড়ে গেল অনেকের।