বোর্ডের ছ’ঘণ্টার বৈঠক, নানা প্রশ্নের মুখে রোহিত, গম্ভীর

চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বড় পরীক্ষা দিতে চলেছে ভারতীয় দল। তার আগে দেশের মাটিতে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে ০-৩ টেস্ট সিরিজ় হারের ময়নাতদন্তে বসে পড়ল ভারতীয় বোর্ড। দীর্ঘ ছয় ঘন্টার বৈঠকে প্রশ্নের মুখে পড়ল কোচ গৌতম গম্ভীর এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মার রণনীতি। সেই বৈঠকে ছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকর, বোর্ড সচিব জয় শাহ ও প্রেসিডেন্ট রজার বিনি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ম্যারাথন বৈঠকে কোচ এবং অধিনায়ককে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। পূর্বসুরি রাহুল দ্রাবিড় যে ভাবে দলীয় দর্শন তৈরি করে গিয়েছিলেন, গম্ভীর দায়িত্ব নিয়ে সেই ভাবনায় পরিবর্তন এনেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, দলের সহ-অধিনায়ক হওয়ার পরেও মুম্বইয়ে শেষ টেস্টে কেন বিশ্রাম দেওয়া হয় যশপ্রীত বুমরা-কে? তা ছাড়া পুণেতে ঘূর্ণি পিচে ধরাশায়ী হওয়ার পরেও কেন স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোর্ডের জনৈক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘ছয় ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ভারতীয় দলকে ত্রুটিমুক্ত করার বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। দল কী ভাবে আবার ছন্দে ফিরতে পারে, তা জানতে চাওয়া হয় কোচ এবং অধিনায়কের কাছে।’’ জানা গিয়েছে, মুম্বই টেস্টে বুমরা-কে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তে মোটেই সন্তুষ্ট হতে পারেননি বোর্ডের কর্তারা। তা ছাড়়াও কেন পুণে টেস্টে স্পিন সহায়ক উইকেটে হারের পরেও মুম্বইয়ে সেই একই ধরনের পিচ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়েও বিরক্ত কর্তারা।

ওই আধিকারিক বলেছেন, ‘‘হতে পারে বাড়তি ঝুঁকি না নিতেই বুমরা-কে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল, তবে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উইকেটের চরিত্র বদল নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে।’’

বৈঠকে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান, কোচ এবং অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই ব্যর্থতার ধাক্কা সামলে কী ভাবে দল ঘুরে দাঁড়াতে পারে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।

শোনা গিয়েছে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ নীতীশ কুমার রেড্ডি এবং হর্ষিত রানার মতো ক্রিকেটার রঞ্জি ট্রফিতে মাত্র দশটি ম্যাচ খেলে কী করে টেস্ট দলে ঢোকেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.