আপাতত রাজনীতির জটিল হিসেব বাদ দিয়ে একজন সামাজিক মানুষ হিসেবে সামাজিক কাজ করতে চান, এমনই জানালেন বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান বনগাঁর উন্নয়নের কান্ডারী শঙ্কর আঢ্য। রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার তিনি, বুধবার দুপুরে নিজের শিমুলতলার বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন। আপাতত কিছুদিন পরিবার এবং ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে চান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় আট মাস আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে যায় তাঁর নাম। আর তারপরেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি। বিচারাধীন বন্দি হিসেবে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছিল। অবশেষে মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে জামিন পান। আর তারপর নিয়মকানুনের কাজ সেরে এদিন গভীর রাতে বনগাঁর বাড়িতে ফেরেন শঙ্কর আঢ্য। তাঁর জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে তাঁর অনুগামীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। মঙ্গলবার গভীর রাতেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এলাকার বহু মানুষ। মানুষের এই ভালোবাসায় আপ্লুত শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসা নিয়েই তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই সামাজিক কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে চাই।’
আজ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে রাজনৈতিক প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিষ্কার জানান, ‘আপাতত রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না। কিছুদিন পরিবারের সঙ্গে এবং ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আর আগেও যেভাবে রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়া সামাজিক কাজ করতাম, এখন সেভাবেই সামাজিক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত রাখতে চাই।’
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ফের তিনি দাবি করেন যে, তিনি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এরজন্য দায়ী। তবে তারা কারা, সেব্যাপারে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার সময়ও তিনি একই দাবি করেছিলেন। এদিন তিনি তাঁর দাবির সমর্থনে বলেন, ‘আমি যে নির্দোষ, তা মহামান্য আদালত বুঝতে পেরেই আমাকে জামিনে মুক্ত করেছে। আমার আইনের প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা আছে। বিচার বিচারের মতো চলবে। আমি যে জামিনে মুক্তি পেয়ে পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি, তার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। সাধারণ মানুষের আশির্বাদ আমার সঙ্গে রয়েছে।’