ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করলেন ঋষি সুনক। জানালেন, তাঁর পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে ইউক্রেনের উপর। আশ্বাস দিলেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পাশেই থাকবে ব্রিটেন।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ডাউনিং স্ট্রিটের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনের প্রধামন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর ঋষি সুনক প্রথম যে বিদেশি নেতার সঙ্গে কথা বললেন, তাঁর নাম জেলেনস্কি। ঋষির এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘জেলেনস্কিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ইউক্রেন ও ব্রিটেনের সম্পর্ক বরাবরের মতো ভাল থাকবে। বস্তুত, তাঁর জমানায় দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সংহতির ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের উপর ভরসা এবং নির্ভর করতে পারেন তিনি।’’
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার দখল থেকে ইউক্রেনের প্রায় ৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল তাঁরা মুক্ত করে ফেলেছেন। ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে উত্তর-পশ্চিম ইউক্রেনের খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহরের দখল হারিয়েছে রাশিয়া। এর পর খারকিভের ৯০ কিলোমিটার পূর্বে রুশ সীমান্তবর্তী শহর বারলুকও হাতছাড়া হয়েছে তাদের। অন্য দিকে, যুদ্ধের প্রথম থেকেই ইউক্রেনের পাশে থেকেছে ব্রিটেন।
প্রধানমন্ত্রী পদের নিয়োগপত্র হাতে নেওয়ার পরেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আক্রমণ করেছেন সুনক। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ঋষির অভিযোগ, অতিমারির পরে বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন করে অস্থির করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এ দিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই বুধবার পুরনো একঝাঁক মন্ত্রীকে ছাঁটাই করেছেন ঋষি। তাঁর পূর্বসূরি লিজ় ট্রাসের জমানায় বাদ পড়া এবং ইস্তফা দেওয়া কয়েক জন কনজ়ারভেটিভ নেতা-নেত্রীকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। নয়া উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করেছেন ডমিনিক রাবকে। যিনি বরিস জনসনের জমানাতেও উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভায় ঋষি ফিরিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেত্রী সুয়েলা ব্রেভারমানকেও। লিজ়ের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে যিনি গত ২০ অক্টোবর ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন।