নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ৪ শিক্ষককে জামিন দিল আদালত। টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মুর্শিদাবাদের ওই ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করল আলিপুর সিবিআই আদালত। ৬ হাজার টাকা করে ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়।
টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে এই অভিযোগ বহু পুরনো। কিন্তু গত আগস্ট প্রথমবার জেলার ৪ শিক্ষককে ওই অভিযোগে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ওই ৪ শিক্ষকই মুর্শিদাবাদের বনগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৪ সালের টেটের পর টাকা দিয়ে তারা প্রাথমিক চাকরি পেয়েছিলেন বলে সিবিআইয়ের কাছে কবুল করেন। ওই ৪ শিক্ষক হলেন জাহিরউদ্দিন সেখ, সায়গল হোসেন, সিমার হোসেন ও সৌগত মণ্ডল। আজ সায়গল হোসেনকে বিচারক প্রশ্ন করেন, আপনাকে সাক্ষী হিসেবে সিবিআই ডাকলে আপনার কোনও অসুবিধা নেই তো? সায়গল বলেন, না স্যার। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।
এদিকে, ওই ৪ শিক্ষককে যেদিন ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় সেদিন তাদের সাক্ষী হিসেবে হাজির করে সিবিআই। এনিয়ে প্রশ্ন তোলে আলিপুর নগর দায়রা আদালত। এদিন বিচারক শিক্ষকদের আইনজীবীকে বলেন, এরাই সেই পাবলিক যাদের জন্য এতগুলো মানুষ ভুগছে। আপনিই বলুন এদের কেন জামিন দেব।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার লেনদেন হলেও তা প্রমাণ করা খুবই কঠিন। যিনি টাকা দিয়েছেন তিনিও এখন শাস্তির ভয়ে এগিয়ে আসছেন না। টাকা দেওয়ার প্রমাণ হাজির করতে এখন হিমশিম খাচ্ছে সিবিআই। আদালতে সেদিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তরফে বলা হয়, নিয়োগ দুর্নীতির জাল কতদূর ছড়িয়েছে, কীভাবে চলত সেই চক্র, কাদের টাকা দেওয়া হয়েছিল তা জানার জন্য এইসব অযোগ্য শিক্ষকদের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। তাই এদের সাক্ষী হিসেবে হাজির করা হয়েছে। ওই য়ুক্তি শুনে বিচারক বলেন, এটা চাকরি কিনতে টাকা দিয়েছিলেন। তাই এরা সাক্ষী নয়, অভিযুক্ত হিসেবেই বিচার করা উচিত। ওই মন্তব্যর পরই তাদের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।