হাওড়ায় দলের অন্দরে ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রশ্ন তুলেছেন বৈশালী ডালমিয়া

বেশ কয়েকমাস ধরেই বেসুরো থাকার পর শুক্রবার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। হাওড়ায় দলের অন্দরে ঠান্ডা লড়াইয়ের প্রশ্ন তুলেছেন বৈশালী ডালমিয়া। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতোই মহুদিন ধরে বেসুরো ছিলেন তিনিও। আজ রাজীবের ইস্তফা ইস্যুতে ফের দলীয় অন্দরের সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। 

জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, ‘দারুণ কাজ করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা দলের জন্য বড় ক্ষতি। রাজীব দাকে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা হয়েছে বহুবার। কিন্তু পারেনি। হাওড়া জেলার বিশাল ক্ষতি হল।’ তাঁর দাবি, ‘একা দল চলে না। সবাইকে নিয়ে চলতে হয়। মানুষের সেবাই একমাত্র লক্ষ্য যে কোনও দলের। সেটাই যদি দিতে না পারি লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। কিছু উইপোকা আছে। যাদের বিরক্ত করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমিও ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। আমার পেছনে লাগা হয়েছে।’

বৈশালীর পাল্টা মন্তব্য করেছেন সৌগত রায়ও। জানিয়েছেন ‘এই ইস্তফা দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। হাওড়া জেলায় কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কাজ না করার কী আছে। পালানোর আগে এগুলো বায়নামাত্র। দলের জন্য কতটা ত্যাগ করেছে আগে খুঁজুন। কেন্দ্রীয় সরকার চক্রান্ত করছেন। ১৬টি আসনই জিতব আমরা। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে না। কাউকে এত তেল দেওয়ার কোনও দরকার নেই। 

তবে এটা দলের ক্ষতি নয় বলছে শতাব্দী রায়। জানিয়েছেন, আপনাদের কাছেই প্রথম খবর পেলাম। বহুদিন ধরেই অনেক রকম আপত্তি জানিয়েছে। এটা নতুন বিষয় নয়, প্রত্য়াশিত ছিল। দল কিন্তু সকলের অভাব অভিযোগ দেখছে। কথা বলা উচিৎ ছিল। দলের অনেকের সঙ্গেই ওঁর বারবার বৈঠক হয়েছে। হয়ত ওর দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে যাওয়া মানে দলকে বিপদে ফেলা। যাঁরা এই সময় দল ছাড়ছেন’গদ্দার মিরজাফরের’ ব্র্যাকেটেই পড়বেন।’ তিনি আরও জানান, ‘দলের জন্য কারও যাওয়াই ক্ষতি নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা। ‘দিদি’কে ভালবেসেই সকলে রয়েছেন। লাভ ক্ষতির হিসেব করতে অপেক্ষা করতে হবে। ‘ 

তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘আমরা জানি, শুনেছি। ক্ষোভ থাকতেই পারে। ক্ষোভ মানেই দল ছাড়া নয়। মানুষ বিচার করবেন। জোমজুড়ে তৃণমূল জিতবেই। লিখে নিন।’ বাবুল সুপ্রিয়র কথায়,  ‘প্রিম্যাচিওর কোনও কথা বলব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে দুর্নীতি করেছে এমন কয়েকজন ছাড়া সকলেই তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে, দেখুনই না কী হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.