বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে উপেক্ষা করতে হবে। এমনই পর্যবেক্ষণ করে এবার কালীপুজোতে সব ধরনের বাজির পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ছটপুজো, জগদ্বাত্রী পুজো-সহ চলতি বছরের সব উৎসবে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
দিনকয়েক আগে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র ‘গ্রিন’ বাজি বিক্রি যাবে। কালীপুজোয় রাত আটটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে সেই পরিবেশবান্ধব বাজি। একইভাবে ছটপুজোয় দু’ঘণ্টা, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে ৩৫ মিনিট পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
যদিও শুক্রবার হাইকোর্ট জানায়, পরিবেশবান্ধব বাজি চিহ্নিত করার উপায় নেই পুলিশের। সেই পরিস্থিতিতে কোনও রকমের বাজি পোড়ানো যাবে না। বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে উপেক্ষা করা যায়। বিচারপতি জানান, করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ানোর অনুমতি কীভাবে দেওয়া যায়? মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হচ্ছে। গত বছরও যে নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলেই কালীপুজো, ছটপুজো-সহ যাবতীয় উৎসব পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য অংশে আতসবাজির উপর নিষেধাজ্ঞা কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কথা মাথায় রেখে জারি করা হয়নি। নাগরিকদের জীবনের অধিকার রক্ষা করার জন্য সেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত বলেে, ‘আনন্দের মধ্যে আপনারা (বাজি প্রস্তুতকারীরা) নাগরিকদের জীবন নিয়ে খেলতে পারবেন না। আমরা কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নই। আমরা একটি শক্তিশালী বার্তা দিতে চাই যে আমরা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য এখানে আছি। কাউকে জাল গ্রিন ক্র্যাকার (পরিবেশবান্ধব বাজি) ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। ভুয়ো গ্রিন ক্র্যাকার বিক্রি করে আমাদের দেখানো হবে যে আদেশ মানা হচ্ছে, এমনটা হবে না।’