নিকি হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়! সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিয়োর সঙ্গে দুই পরিবারের দাবির ‘অসঙ্গতি’! কী বলছে পুলিশ

উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার বধূ নিকি ভাটির হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। তরুণীর পরিবার এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের দাবির সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ এবং সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। ফলে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিয়োগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিকির দিদি কাঞ্চন ঘটনার যে ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, সেখানে সময় দেখাচ্ছে পৌনে ৬টা। বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে চেক জামা পরা এক ব্যক্তিকে বাড়ির বাইরে দেখা গিয়েছে। তিনি দাঁড় করানো একটি সাদা গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ৫টা ৪৭ নাগাদ হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু গয়ে যায়। চেক জামা পরা লোকটিকে বাড়ির ভিতরে দ্রুত ছুটে যেতে দেখা গিয়েছে। তাঁর পিছু পিছু আরও এক বয়স্ক ব্যক্তি ভিতরে গেলেন। কিছু পরেই চেক জামা পরা ওই ব্যক্তি বেরিয়ে আসেন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা লোজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। ৫টা ৪৮ মিনিটে চেক জামা পরা ওই ব্যক্তিকে সামনের সাদা গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। তার পর গাড়িটি ঘোরাতে দেখা গিয়েছে। তত ক্ষণে বাড়ির সামনে ভিড় বেড়েছে।

বিপিনের তুতো ভাই দেবেন্দ্রর দাবি, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ায় গায়ে আগুন লেগে যায় নিকির। তাঁর কথায়, ‘‘নিকিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করছিল বিপিন। প্রত্যেকে চিৎকার করছিল। যদি ফুটেজ দেখা হয়, তা হলে দেখা যাবে, বিপিনের কিছু পরেই আমি দোকান থেকে বেরিয়েছিলাম। তার পর গাড়িতে কাকু-কাকিমার সঙ্গে নিকিকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। নিকি বার বার বলছিল, সিলিন্ডার ফেটেছে। ডাক্তারকেও সিলিন্ডার ফেটে যাওয়ার কথা বলেছে নিকি।’’

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজের সময় এবং নিকির পরিবার যে ভিডিয়োগুলি শেয়ার করেছে, সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে। তাঁর কথায়, ‘‘কয়েকটি জিনিস আবার খতিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে দুর্ঘটনা কোন সময়ে ঘটেছে, সেই বিষয়টি। নিকির দিদি যে ভিডিয়ো পুলিশোর হাতে দিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ এবং নিকিকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকারও সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

গত সোমবার নিকিকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ভাসুরের বিরুদ্ধে। চার জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রহস্য ক্রমশ বাড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.