সংসদে তিনি বাজেট অধিবেশনের ধন্যবাদজ্ঞাপন ভাষণে তুলে ধরেছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর বক্তব্য। সেই প্রসঙ্গে ক্ষোভ উগড়ে দেয় কংগ্রেস। এরপর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাহুল গান্ধীকে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালিকা বলেন যে, নেহরুর প্রসঙ্গ তুলে প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের সমালোচনার পর রাহুল গান্ধী প্রবল ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন, ‘মোদীজির থেকে আমার প্রপিতামহের সার্টিফিকেট চাই না।’ সঞ্চালিকার প্রশ্ন যায় যে, পরিবারতন্ত্র নিয়ে। যার জবাবে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘ প্রথমত আমি কারওর পিতা, দাদু বা মাকে নিয়ে কিছু বলিনি। আমি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বলেছি। আর সরকার ক্রমান্বয়ে চলে।’ মোদী বলেন, তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে একজন প্রধানমন্ত্রী যখন ছিলেন, তখন তাঁর সময়ে পরিস্থিতি কেমন ছিল, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী, তাঁর সময়ে পরিস্থিতি কেমন তা নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলেন। মোদী বলেন, দেশের মানুষের এই দুই পরিস্থিতি জানার অধিকার রয়েছে। এছাড়াও কটাক্ষের সুরে মোদীর বার্তা,’আমাকে বলা হয় বারবার , যে আমি নেহরুজির নাম নিইনা। আমি নাম নিলেও মুশকিল হচ্ছে। আমি বুঝতেই পারছিনা এত ভয় কীসের।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
উল্লেখ্য, এই সাক্ষাৎকারে পরবর্তী পর্যায়ে প্রসঙ্গক্রমে উঠে এসেছে রাজনীতিতে পরিবারবাদের কথা। সঞ্চালিকার প্রশ্ন ছিল, বিজেপির বিরোধীরাও বিজেপির বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র নিয়ে অভিযোগ তুলছেন। এই প্রসঙ্গে, উত্তর দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপির দাপুটে গুজরাটি নেতা বলেন, ‘ দেশের মানুষকে এক মিথ্যের সামনে আসল সত্যিটা বোঝাতে চাই। একটি পরিবার থেকে অনেক জন জনতার মাঝে যাচ্ছেন,… সেটা রাজনীতির একটি দিক আর একটি পরিবারের লোকই ওই পার্টির অধ্যক্ষ হবেন, ট্রেজারার হবেন…বাবা না করতে পারলে, ছলে অধ্যক্ষ হবেন..এই যে প্রক্রিয়া বংশ পরম্পরায় চলছে..কোনও ডায়নামিক্সই নেই.. শুধু ডায়নাস্টি। ’ মোদী বলেন এতেই সর্বনাশ হচ্ছে ভারতের গণতন্ত্রের। এক্ষেত্রে জম্মু, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পঞ্জাবে একই পরিবারের একাধিক সদস্যকে দেখা গিয়েছে পর পর রাজনীতিতে আসতে। এই পরিবারবাদী পার্টিরাই ভারতীয় গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু।