সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় তুমুল হইচই। সৈকতে এসে ঠেকেছে আজব এক বস্তু। গম্বুজ আকৃতির ধাতব বস্তুটি আসলে কী তা নিয়েই পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া উপকূলে তৈরি হয়েছে রহস্য ও জল্পনা। প্রশাসনও বলতে পারছে না বস্তুটি আসলে কী। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে বিশাল ধাতব ওই বস্তুটি আসলে কোনও মহাকাশ যানের অংশ।
পার্থ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে গ্রিন হেড বিচে বিশাল ওই বস্তুটি পড়ে থাকতে দেখতে পান এলাকার মানুষজন। তদন্তে নেমে প্রশাসনের একাংশের অভিমত বস্তুটি আসলে কোনও বিমানের হতে পারে। অস্ট্রেলিয় সংবাদমাধ্য়মের খবর অনুযায়ী গম্বুজ আকৃতির ধাতব বস্তুটি প্রায় ৩ মিটার লম্বা ও ২.৫ মিটার চওডা়। অস্ট্রেলিয় স্পেস এজেন্সির তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার জুলিয়েন বে-র ওই বস্তুটি আসলে কী তা নিয়ে তদন্ত চলছে। বস্তুটি কোনও বিদেশি স্পেস ক্রাফটের অংশ হতে পারে। এনিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যেহেতু বস্তুটি আসলে কী তা জানা যায়নি তাই সেটিকে নড়াচড়া করা বা তা নিয়ে কিছু করতে যাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য ঠিক হবে না।
অস্ট্রেলিয়ায় এই প্রথম কোনও অদ্ভূত বস্তু পাওয়া গেল এমন নয়। গত বছর জমি থেকে এক কৃষক বিশাল এক ধাতব বস্তু খুঁজে পান। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই বস্তুটি আসলে স্পেস এক্স ক্রু ১ ক্যাপসুল। দেশের অ্যাস্ট্রো ফিজিসিস্ট ব্রাড ট্রাকার এনিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো যে বস্তুটি কোনও লোকালয়ে পড়েনি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর জল্পনা পশ্চিম অস্চ্রলিয়ায় পাওয়া ওই বস্তুটি নিখোঁজ MH370 বিমানের ধ্বংসাবশেষ। এনিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিমান বিশেষজ্ঞ জিওফ্রে থমাস এক সাক্ষাতকারে বলেন, ওই বস্তুটি বোয়িং ৭৭৭ MH370 বিমানের ধ্বসাবশেষ কোনওভাবেই হতে পারে না। কারণ সেটি হারিয়ে গিয়েছিল সাড়ে ৯ বছর আগে। এত দিন সেটির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।