জল্পনার অবসান। প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal) কেরালা ব্লাস্টার্সে (Kerala Blasters FC) গেলেন। আর কেরল থেকে সোয়াপ ডিলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে (Mohun Bagan Super Giant) চলে এলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। অনিরুদ্ধ থাপা (Anirudh Thapa), আনোয়ার আলির (Anwar Ali) পর জাতীয় দলের তৃতীয় নক্ষত্র ফুটবলারকে তুলে নিল গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। অনেক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে, মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ প্রীতম ঘর ছাড়ছেন। জল্পনাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হল। দুই ফুটবলারই ৩ বছরের জন্য চুক্তি করেছেন। ২৬ বছরের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার সামাদকে নেওয়ার জন্য ১.৫ কোটি টাকা ট্রান্সফার ফি দিয়েছে মোহনবাগান। প্রতিবছর তিনি পাবেন ২.৫ কোটি টাকা করে। অন্যদিকে প্রীতম পাবেন প্রতি বছর প্রায় ২ কোটি টাকা করে।
মোহনবাগানে যোগ দিয়ে সাহাল বলেন, ‘মোহনবাগানের মতো সম্মানীয় ক্লাবের জার্সি গায়ে চাপাব। ভেবেই গর্ব হচ্ছে। আমি সারা জীবন শুনে এসেছি যে, সবুজ-মেরুন রঙে আমি নাকি অন্যরকম খেলতে শুরু করব।’ মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার আগে তিনি তাঁর জাতীয় দলের হেডস্যার ইগর স্টিমাচের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সেই প্রসঙ্গে সাহাল বলছেন, আমি মোহনবাগানে আসার আগে ইগর স্টিমাচের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উনি আমাকে আশীর্বাদ করেছেন নতুন পদক্ষেপের জন্য। স্টিমাচ আমাকে মোটিভেশন দেন আরও ভালো ফুটবলার হওয়ার। যে ক্লাবে খেলি না কেন, সেই ক্লাবে সফল হওয়ার মন্ত্র দেন। আমার আগে আমাদের কেরালা থেকে আইএম বিজয়ন, জো পল আনচেরিরা কলকাতায় খেলে সফল হয়েছেন।’
কলকাতা ডার্বিতে খেলার জন্য মুখিয়ে সাহাল। তাঁর কথাতেই তা ফুটে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘কলকাতা ডার্বিকে এল ক্লাসিকোর মতো দেখা হয়। আমি ফুটবল ম্যাচ দেখার ব্যাপারে আসক্ত। আমি যখনই সময় পাই, তখনই বিশ্বের তাবড় লিগের ম্য়াচ দেখি। আমি টিভিতে কলকাতা ডার্বি দেখেছি। কী অসাধারণ পরিবেশ থাকে মাঠে। যদিও আমি কখনও গ্যালারিতে বসে ডার্বি দেখিনি। এমনকী খেলিওনি। তবে এবার মোহনবাগানের হয়ে খেলব। গোটা স্টেডিয়াম একেবারে কানায় কানায় ভর্তি থাকবে। ফ্য়ানরা আমাদের জন্য গলা ফাটাবেন। আমি জয় ছাড়া আরও কোনও ভাবনা নিয়ে মাঠে নামিনি। এটাই আমার মানসিকতা। ডার্বিতেও এটা মাথায় রাখব।’
সম্প্রতি বিয়ে করেছেন সাহাল। বিয়ে ও মোহনবাগানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই আমি বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার। মনে হচ্ছে মোহনবাগানের হয়ে সই করাটা আমার কাছে বিয়ের সেরা উপহার। মোহনবাগান গতবছর আইএসএল জিতেছে। আমাদের দলে দু’জন বিশ্বকাপার রয়েছে। যারা ইউরোপা লিগ খেলেছে। আমি ওদের সঙ্গে খেলব। এই দলে ইন্ডিয়া টিমের পাঁচজন রয়েছে। যারা ভারতকে তিনটি কাপ জেতাতে সাহায্য করেছে। কিন্তু আমি কখনও আইএসএল জিতিনি। এই খেতাব জেতার জন্যই আমি মোহনবাগানে সই করেছি। আমি বিশ্বাস করি মোহনবাগান আরও ভালো দল হয়ে উঠবে। আমার আইএসএল জেতার স্বপ্নপূরণ হবে।’ এখন দেখার মোহনবাগান আইএসএল খেতাব ধরে রাখতে পারে কিনা!