আনোয়ারকে নিয়ে ফিফা, এএফসি-র দ্বারস্থ মোহনবাগান, ফেডারেশনের ভূমিকায় ক্ষিপ্ত সবুজ-মেরুন শিবির

আনোয়ার আলির বিতর্কিত চুক্তি বাতিল নিয়ে এ বার ফিফা এবং এএফসি-র দ্বারস্থ হল মোহনবাগান। শুক্রবার দুই সংস্থাকেই পাঠানো ছ’পাতার চিঠিতে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সমালোচনা করা হয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ভূমিকারও।

ফিফার সেক্রেটারি জেনারেল মাতিয়াস গ্রাফস্ট্রম এবং এএফসি-র সেক্রেটারি জেনারেল দাতো উইন্ডসর জনকে লেখা চিঠিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট জানিয়েছে, আনোয়ারের চুক্তি নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তার সমাধান কিছুতেই করছে না ফেডারেশন। উল্টে ক্রমাগত দেরি হয়েই চলেছে। বাধ্য হয়ে তারা ফিফা এবং এএফসি-র দ্বারস্থ হয়েছে।

আনোয়ারের চুক্তি সংক্রান্ত সমস্যার নিষ্পত্তি করার কথা ছিল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি এবং আপিল কমিটির। ১৩ এবং ১৪ নভেম্বর আপিল কমিটিতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুক্রবার তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে ফেডারেশন। এতেই ক্ষিপ্ত সবুজ-মেরুন শিবির। তারা ফিফা এবং এএফসি-র হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ফেডারেশনের আপিল কমিটির প্রধান ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ ট্যান্ডন। বাকি তিন সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক কুমার ত্রিপাঠি এবং অনিল ক্ষত্রিয় ও দিবাকর থিতে। সম্প্রতি রাজেশ পদত্যাগ করেছেন। ফেডারেশন জানিয়েছে, আপিল কমিটির শূন্যস্থান ভরাট না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টির শুনানি হবে না।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জুলাই একপাক্ষিক ভাবে মোহনবাগানের সঙ্গে চার বছরের লোনের চুক্তি ভেঙে দেন আনোয়ার। তিনি ফিরে যান দিল্লি এফসি-তে। পরে পাঁচ বছরের চুক্তিতে যোগ দেন ইস্টবেঙ্গলে। প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর চার মাস নির্বাসিত করে আনোয়ারকে। ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লির উপর ট্রান্সফারে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোহনবাগানকে ১২.৯ কোটি টাকা দিতে বলা হয়।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি চ্যালেঞ্জ জানানোর পর দিল্লি হাইকোর্ট তা স্থগিত করে দিয়ে আপিল কমিটিকে নতুন করে মামলা শোনার নির্দেশ দেয়। ২০ সেপ্টেম্বর মোহনবাগান বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আর্জি জানায়। তার পর থেকে আনোয়ারের শুনানি পিছিয়েই চলেছে। ১৬ মাস অপেক্ষা করার পর অবশেষে ফিফার দরজায় কড়া নাড়ল মোহনবাগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.